খ্রীষ্টীয় গানের বই - খ্রীষ্টীয় জীবন



নিচে আপনার পছন্দের লেখকের নাম বা গানের শিরোনাম টাইপ করুন



খ্রীষ্টীয় গানের বই

গানের শিরোনাম
MP3 Dwonload

২১৪. যীশু খ্রীষ্টের শরণ লয়েছি,

আর ভর ভয়ের ভাবনা কি!
১। ত্যজ্য করে স্বভাব পুরাতন,
এখন যীশু প্রেমে মজে রে ভাই স্থির করেছি মন;
ও তাঁর ধর্ম আলো, অতি উজ্জ্বল ,
আমি হৃদয় মাঝে জ্বেলেছি।
২। মন ভ্রান্ত ছিল অতিশয়,
তাতে পাপে ভারী প্রাণ তরি জীবন সংশয়;
এখন ঘুঁচিয়ে দন্ড ,নিরানন্দ,
আমি আনন্দেতে ভেসেছি।
৩। শয়তানের দুষ্ট কারখানা,
এই ভোলা মনকে ভুলায়েছিল দিয়া মন্ত্রণা;
সব দেখি ফাঁকি, মুদি আঁখি,
প্রভুর চরণ হৃদে ভাবতেছি।
৪। কি করিবে শয়তান দুরাচার,
এই মন প্রাণ দিয়েছি সব খ্রীষ্টের উপর ভার;
আর নাইকো শঙ্কা , বাজিয়ে ডঙ্কা,
আমি যীশুর রাজ্যে এসছি।
৫। মিথ্যা ফাঁকি যত চাতুরী,
আর কুজ্ঞান কুমতি সকল পরিত্যাগ করি;
লয়ে যীশু তত্ত্ব, মহামন্ত্র,
আমি খ্রীষ্টের দাস হয়েছি
-----কালচাঁদ মন্ডল (১৮৪৫)

২১৫. আর কি কারেও ভয় করিব,

ঐ ক্রুশে হত প্রভু যীশুর পদতলে পড়ে রব।
১। মনের মত পেয়েছি ধন, আর কি সে ধন ছেড়ে দিব ,
ঐ ধন যতনে হৃদয়ে রাখ, যতনে সদা পূজিব।
২। যীশু আমার সুখের সুখী, যীশু আমার দুঃখের দুখী,
ও ভাই হেন বন্ধু নাহি দেখি, তাঁরে কভু না ভুলিব ।
৩। আপনার উপর নির্ভর করি , অচেতনে নাহি রব,
চল প্রাণ বাঁচাতে কালভেরীতে , সদানন্দে আমি রব।
৪। যীশু মম সেনাপতি, তাঁরই আালে থাকিব ,
কি ভয় দেখাস ওরে শয়তান, তোরে রণে রণে হারাইব।
----শিমোন অমরনাথ (১৮৯২)

২১৬. প্রভু এই আমার বাসনা, আমি পাপের পথে আর যাব না,

আমার পাপের তরে , ওহে প্রিয় যীশু!
নিজ প্রাণে সহিলে কত যাতনা।
১। পাপ সম্বন্ধে আমি মৃত, তব সঙ্গে ক্রুশার্পিত
তব জীবনে জীবিত ,প্রিয় যীশু!
এমন সুখের জীবন যেন আর ছাড়ি না।
২। মলিন ছিলাম ধৌত হলাম ,অন্ধ ছিলাম দৃষ্টি পেলাম,
তব রক্তে শুচি হলাম, প্রিয় যীশু!
পাপ পঙ্কে যেন আর ডুবি না।
৩। শয়তানের প্রজা ছিলাম , তব রাজ্যে স্থান পেলাম,
বন্দী ছিলাম মুক্ত হলাম , প্রিয় যীশু!
পাপের বেড়ি যেন আর বেড়ে না।
৪। বিদায় হই রে জগত মায়া, বিদায় হই রে , পাপের ছায়া,
জন্মের মত বিদায় হই রে, ও পাপাত্মা!
তোদের বলে আমায় আর ভাবিস না।
----প্রেমচাঁদ (১৮৯৬)

২১৭. পাপ সঙ্গে কোন ভাব আর না রাখিব,

যীশু যেই পথগামী ,আমি সেই পথে যাইব।
১। নাথ তুমি মম স্বমী , তোমায় না ভুলিব আমি;
নাথ তব পদচিহ্ন ,এই জীবনে না ছাড়িব।
২। কে আছে তোমার সম, মম প্রাণ প্রিয়তম;
তোমার ক্রুশীয় প্রেম, আমি কেমন ভুলিব।
৩। তব তরে মম প্রাণ, করিয়াছি সমর্পণ;
তোমায় ছেড়ে দেহ লয়ে ,আমি বল কি করিব।
---মধুসূদন সরকার গোপালগঞ্জ(১৮৯৬)

২১৮. খ্রীষ্ট প্রভু আমার পালক ,

আমি তাঁহার ক্রতি মেষ,
চলি তাঁহার পিছে পিছে,
তাই তো সুখের নাই শেষ।
১। জগৎ এখন পাপাগুণে, জ্বলে পুড়ে প্রায়ই শেষ,
ভ্রান্তির নানা মিথ্যা জালে, পড়ে আছে কত মেষ।
২। পাপের দোলায় দোলে সবে, ঘুমিয়ে আছে অনিমেষে,
চেয়ে দেখ , মর্তবাসী বৃথা সহে দুঃখ ক্লেশ।
৩। খ্র্রীষ্ট আসনে সগৌরবে , ধারণ করি বরের বেশ,
লইতে তাঁহারই ভার্যায়, অতি সুন্দর পরিবেশ।
৪। খ্রীষ্ট প্রভু ডাকেন তোমায়, এস আমার ভ্রান্ত মেষ,
এস, এস, শীঘ্র এস প্রবেশিবে স্বর্গদেশ।

২১৯. ভুলিয়া না যাই, যেন ভুলিয়া না যাই,

অফুরন্ত দয়া তোমার অনন্তকাল স্থায়ী,
(তোমার) যত দয়া এ জীবনে, দেশে দেশে এ ভুবনে
দন্ডে দন্ডে নিশিদিনে, সর্বক্ষণ পাই।
(আমি) কেবলমাত্র তোমার দয়ায়, পিতা হে চিনেছি তোমায়
পেয়েছি ঐ পায়ে আশ্রয়, চিরকালের ঠাঁই।
যেন তোমার দয়ার কথা, চির দিন রয় প্রাণে গাঁথা
কৃতজ্ঞতা যেন প্রাণে থাকে সর্বদাই।
¬প্রিয়নাথ বৈরাগী

২২০. ঘটে যা ঘটুক তোমার জীবনে,

বল ধন্য যীশু!
বল রাত্রি-দিনে, সর্বক্ষণে--
ধন্য যীশু! ধন্য যীশু! ধন্য যীশু!
১। আসিলে সুখের সময়,
তুমি মহানন্দে খুলে হৃদয়,
২। আসিলে ব্যথা, বেদন,
তুমি সেই শ্রীচরণ করে স্মরণ,
৩। আসিলে সুখের জোয়ার,
গোলায় ধন-ধান্য ধরে না আর,
৪। যখন হয় শূন্য দুই হাত
তুমি ঊর্ধ্বে তুলে সেই শূন্য হাত,
৫। দুঃখ-সুখ আধাঁর আলো,
নিয়ে দুঃখ সুখ, আর মন্দ ভাল,
৬। সুখ-দুঃখের উর্ধ্বে থেকে
বল দুঃখে-সুখে হাস্যমুখে,
এ সংসার আনন্দময়,
বল-জয় জয় ধন্য যীশু!
হাহাকার , দুঃখ, ক্রন্দন,
বল জয় জয় ধন্য যীশু!
ভরে যায় তোমার ভান্ডার,
বল- জয় জয় ধন্য যীশু!
দুঃখের রাত হয় না প্রভাত,
বল-জয় জয় ধন্য যীশু!
জীবনের সাদা কালো,
বল-জয় জয় ধন্য যীশু!
তাঁর দিকে দৃষ্টি রেখে,
জয় জয় জয় ধন্য যীশু!
প্রিয়নাথ বৈরাগী

২২১ কি দিয়া পূজিব চরণ যীশু, কি দিব তোমারে!

তোমার অপার দয়ায় হে দয়াময়, আমার প্রাণ নিয়াছ কেড়ে।
১। কি আছে তোমারে দিব, কি দিয়া ঐ ঋণ শুধিব,
বসে ভাবি তাই অন্তরে;
তোমার অমূল্য দয়ার তুল্য, কিছু মিলে না সংসারে।
২। ছায়ার মত দিনে-রাতে, থেকে সদা সাথে সাথে,
মোরে বেঁধেছ প্রেম ডোরে।
মোরে শান্তিতে করেছ পূর্ণ দয়াল, অশান্তির সংসারে।
৩। দুঃখ- কষ্টের হয়েছে, শেষ, মহা আনন্দে ভরেছে এই দেশ,
যেন সুখের জোয়ারে!
তোমার প্রেমের ধারা নেমে আসে সদা আমার এই অন্তরে।
৪। লও মম ধন জন, লও মম দেহ-মন,
যীশু তোমার সেবার তরে,
যেন ইহকালে পরকালে থাকি তোমার ঐ দুয়ারে।
৫। তোমার নামে প্রশংসা গান, গাব নিশিদিন হে দয়াবান,
আমি গাব পরাণ ভরে!
তুমি কাছে থেকো পায়ে রেখো, সদা এ অধম পাপীরে।
প্রিয়নাথ বৈরাগী

২২২. (জগৎ) যত পার দেও যাতনা,

দিলাম বুক পেতে যাতনা সহিতে,
তবু প্রাণনাথে কভু ছাড়িব না।
১। আমি যে আর জগৎ , নহি আপনার,
বিক্রীত হয়েছি চরণে তাঁহার,
আমার যত দাম, কেবল খ্রীষ্ট নাম,
সে নামে নিবারে আমার বেদনা।
২। যীশুই আমার হৃদয়ের ঈশ্বর,
যীশুই আমার কণ্ঠের পুম্পহার,
যীশু মম ধন, যীশুই জীবন,
কেমনে তাঁহারে ভুলি, বল না।
৩। তাঁর সম ভাল কে বাসিবে মোরে।
সহিবে যাতনা কেবা ক্রুশোপরে,
কেবা নিজ প্রাণ করিবে অর্পণ,
তাঁর সম কার আছে করুণা।
৪। সে জীবনের তরে সকলি সহিব,
প্রাণ চাহ যদি তাহাও দিব,
তরবারি ধার, অগ্নি পারাবার,
সে নাম ভুলাতে কভু পারিবে না।
অমৃতলাল নাথ

২২৩ বাজ রে হৃদয়-বীণে, অবিশ্রান্ত যীশু ব’লে,

নাচ রে আত্মা মম, সেই সঙ্গে তালে তালে।
১। প্রেম সুধা ক’রে পান, মাত রে আমার প্রাণ,
ছাড় ঈশ গুণ-তান, ওরে মন কুতূহলে।
২। যে প্রেম ঈশ -নন্দনে, দেখালেন গেৎশিমানে,
সেই প্রেম নানা তানে, প্রকাশ জগতীতলে।
৩। ক্রুশের যাতনা যত, রে মম কঠিন চিত,
প্রেমে হয়ে বিগলিত, জানাও পাতকীকূলে।
৪। যে শোণিতে পরিস্কৃত, হ’ল মম পাপ যত,
সে শোণিতের গুণ কত, বল রে হৃদয় খুলে।
৫। বিদল- স্বদল মাঝে, সাজ আজি নানা সাজে,
উড়াও প্রেমের ধ্বজে, শ্রী যীশুর জয় বলে।
অমৃতলাল নাথ

প্রিয়জনের জন্য প্রিয় উপহার !

গানগুলো ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন

Total Pageviews