খ্রীষ্টীয় গানের বই - পবিত্র আত্মা



নিচে আপনার পছন্দের লেখকের নাম বা গানের শিরোনাম টাইপ করুন



পবিত্র আত্মা

গানের শিরোনাম
MP3 Dwonload

১৪৫. আত্মন এস মোদের অন্তরে ,

উজ্জ্বল কর আপনার করে।
১। তোমার সত্যের আলো প্রদান করে,
সুপথ দেখাও অন্তরে ।
২। বহাও জীবন বায়ু শক্তি ভরে,
সবল কর অন্তরে ।
৩। অগ্নি স্পর্শ দিয়া ওষ্ঠাধরে,
খাঁটি কর অন্তরে ।
৪। সেই কপোত বেশে নেমে ধীরে,
নিবাস কর অন্তরে ।
৫। মোদের যীশু লতার শাখা করে,
দেও তাঁরি রস অন্তরে ।
৬। শিখাও আব্বা বলা আমাদের ,
দেও পুত্রের ভাব অন্তরে ।
৭। দেখাও যীশুর মূর্তি অঙ্কিত করে,
স্পষ্ট মোদের অন্তরে।
৮। দুঃখিত হ’য়ে যেও না হে ফিরে,
সদা থাক অন্তরে।
--ডবলু. কেরী(১৯০৫)

১৪৬. আত্মন ! এস হৃদয় উদ্যানে তুষিব হৃদয় দানে।

১। যেমত বায়ু বিহনে, জীবাদি বাঁচে না প্রাণে,
সেই মত তোমা বিনে, বাঁচি না এ জীবনে।
২। যেমন বায়ু সুখী করে, তেমন সুখী কর মোরে,
সদাই ¯িœগ্ধ অন্তরে, ডাকব তোমায় এক প্রাণে।
৩। ওহে প্রভু দয়াময়, উদ্যানে এস এ সময়,
নানা জাতি পুস্পচয়, ফুটাও হৃদয় কাননে।
৪। বিশ্বাস ভক্তি পবিত্রতা ,প্রেম আনন্দ সহিষ্ণুতা,
মধুর ভাব দয়া ন¤্রতা ,চাই এই উদ্যানে।
--প্রভাত চন্দ্র দাস(১৮৯২)

১৪৭.ও নাথ দেও দেও নিজ আত্মা ঢেলে।

১। বড় আশা করে ,তোমার দ্বারে ,এসেছি মোরা সকলে।
২। আর্শীবাদ পাব বলে, বসেছি চরণ তলে।
৩। আত্মার ভিখারী মোরা দেও আত্মার আগুন জ্বেলে।
৪। উঠিব না উঠিব না আত্মার শক্তি না পাইলে।
৫। কোথায় যাব কি বলিব আত্মা সঙ্গে নাহি গেলে।
৬। মোদের কথা কে শুনিবে আত্মা কথা না বলিলে।
৭। আজি পেন্তিকস্তের দিন কর ভাসাও সুখ সলিলে।
মধুসূদন সরকার(১৮৯৬)

১৪৮. হৃদয়ে জ্বালাও যীশু তব অনলে

জ্বালাও জ্বালাও প্রাণ, দগ্ধ কর এ প্রাণ,
পাপ তৃণ কুটা সব নাশ সমূলে।
১। ভগ্ন কর হৃদয় ,চূণ কর আমায়,
ধ্বংস কর হে দয়াময়!
ফুকারি তব অনলে, হৃদয়ের অন্তঃস্থলে,
প্রবেশ কর হে যীশু, তব প্রেম বলে।
২। অগ্নিময় দেহ ধ্যান, অগ্নিময় বাক্য জ্ঞান
অগ্নিময় হউক আমার প্রাণ;
হয় ঘোষি যীশু তব দূত নরে মিলে।
৩। অনলে সুবর্ণ রুপ , হায়! অতি অপরুপ,
সেই রুপ প্রদান আমায়;
অনলেতে খাঁটি কর , ওহে যীশু দয়াধার,
এই চির নিবেদন তব পদতলে।
--বিন্দুনাথ সরকার(১৮৯৪)

১৪৯. পুণ্যেতে এই বেলা, পূর্ণ কর হে হৃদয় থালা

অধোমুখে ধরি চরণ, কিছু না হয় দাও পদ ধুলা।
১। যীশু এই মনস্কাম , পাই যেন পরাক্রম ,
মনেে মত ক’রে তুল হব গুরুর সমান চেলা।
২। ছাড়িব না কোন মতে , দিব না হে তোমায় যেতে,
শিখাও যীশু, ধ’রে হাতে ,স্বর্গ দূতগণের খেলা !
৩। যেমন দূতে ডাকে তোমায় ,তেমন গান শুনাও আমায়,
গাব নাম প্রশংসা জয় , যীশু যথা লোকের মেলা।
--রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়(১৮৯১২)

১৫০.কর করুণা , কর নাথ করুণা ,

যীশু হে করুণাবিধি বিতর করুণা-কণা।
১। পাপ-বিনাশন, পতিত পাবন,
অনন্ত জীবন,পাপী তাপীর সান্ত¦না।
২। জীবন আকর,হে ত্রাণ ভাস্কর,
নাশি মোহ তমোরাশি ,হৃদে থাক ,এ বাসনা ।
৩। দয়ার আকর ,কর দয়া কর,
জ্বালাও আত্মার আলো, নির্বাণ হ’তে দিও না।
--হৃদয়নাথ চাকলাদার (১৮৯১)

১৫১. সেই জীবন্তআত্মা প্রভু, আজি সকলে চাই,

যাঁহার জীবনে রয়েছি জীবিত,আমরা সবাই চাই।
১। এ বিশ্ব ব্রক্ষা- সৃজন কালে, যে আত্মা ছিল ভাসিয়া জলে
যাঁহার জীবন্ত নিশ্বাসের বলে, আমরা জীবন পাই পাই।
২। মোশি ইলীশায় উচ্চ গিরি পাশে, হনোক এলিয় মেঘ আকাশে,
বিহার করিত যে আত্মার আবেশে,আমরা তাঁরে চাই চাই।
৩। বাবিল নগরে রাণীর মুখে, যত মহালোক রাজার সম্মুখে ,
সাধু দানিয়েলের পক্ষে যাঁহার করুণা শুনতে পাই পাই।
৪। আকাশবাণী সঙ্গে করে, দীপ্ত কপোত আমার ধ’রে,
নেমে এলো যর্দনের পারে, আমরা তাঁরে চাই চাই।
৫। তোমার প্রতিজ্ঞা করিয়ে স্মরণ, শান্তিকর্তা আজ করহ প্রেরণ,
অভিষিক্ত হয়ে আত্মাতে এখন, তোমার কার্যে যাই যাই।
৬। আমরা হৃদয়ে অতি দুর্বল, নাই প্রেম ভক্তি প্রীতি সম্বল,
সেই জীবন্ত আত্মার বল, বুঝিতে শক্তি নাই নাই।
৭। উদ্দীপ্ত প্রদীপ্ত বহিুরাশি ,রসনাকারে নামিল আসি,
শিষ্যদের শিরে রহিল বসি,আমরা কেন না পাই পাই।
৮। বিতর বিতর সেই অগ্নিকণা, খুলুক কর্ণ ,নয়ন, রসনা,
দেখিব শুনিব শকতি নানা, বলিব সর্ব ঠাঁই ঠাঁই।
-বিজয় নাথ সরকার(১৯০৫)

১৫২.ওহে ধর্মাত্মন, পাপীর জীবন,

এস হে এখন পাপীর অন্তরে;
না হেরে তোমায় প্রাণ জ্বলে যায়,
দেখা কৃপাময় দেও সত্বরে।
১। ভিখারির মত এসেছি, হেথায়,
রিক্তহস্তে নাথ করো না বিদায়;
হও হে সদয়, ও হে দয়াময়,
শান্তিধন ভিক্ষা দেহ কিঙ্করে।
২। মন কাঝে আছে যত অন্ধকার,
সে সকল তুমি কর ছারখার;
ওহে দীপ্তিময় , দীপ্তির আশায়,
এসেছে এ পাপী তোমার দ্বারে।
৩। শুনিয়াছি তুমি ভক্তদের উপরে,
এসেছিলে নাথ অগ্নি মূর্তি ধ’রে;
কেন হে এখন কর বিলম্বন,
বিলাতে জীবন অধম পামরে।
৪। ঘন ঘন প্রাণ ডাকিছে তোমায়,
বারিহীন যেন চাতকের প্রায়;
হইয়ে সত্বরে প্রদান উত্তর ,
নিবাও হৃদি জ্বালা তব শান্তি নীরে।
-অমৃতলাল নাথ(১৮৮০)

153. যীশু ফিরে যাব না, যাব না , যাব না হে ,

তব আত্মা না পাইলে, চরণ ছাড়াবো না(৩) হে ।
১। তব আত্মার প্রসাদ ভাল , আমার হৃদয়ে ঢাল,
হৃদে জ্বাল সত্যের আলো , ভ্রমে পড়বো না(৩)হে
২। যারা যাচ্ঞা করিবে , তারাই তব আত্মা পাইবে,
শাস্ত্রেতে বিশ্বাসী যারা , পুণ্য আত্মা পাবে তারা,
৩। যীশুতে বিশ্বাসী যারা, পুণ্য আত্মা পাবে তারা,
তব দানের এই ধারা , কভু ভুলব না(৩) হে।
৪। আত্মার প্রসাদ বিনা, তব সেবা ত হবে না,
পবিত্র জীবন পাব না , ততক্ষণ আত্মা চাব,
দেও শক্তি ও প্রভাব ,দাসে ভুল না(৩), হে।
--শলোমান শান্তিনাথ বিশ্বাস

১৫৪ .আজি অবিরত ধারে যীশু সবার উপরি।

১। কি উপহার দিব আজি গুণধাম,
এই এনেছি ভগন চিত, লহ , পাপহারি!
২। জ্বাল প্রেম অগ্নি সকল হৃদয়ে,
সবে পর সেবা তরে যেন প্রাণ দিতে পারি।
৩।তব বলে কর সবে বলবান,
মোরা জবিন সংগ্রামে যেন জয়ী হতে পারি।
৪। পূর্ণ কর সবে পবিত্র আত্মায়,
যেন জগতেরে তব প্রেমে মাতাইতে পারি।
-রসময় বিশ্বাস(১৯০৭)

১৫৫. পবিত্র আত্মন জবিন কারণ

হেথা আগমন কর হে এখন,
দূরি ক্ষুণœমন, দিয়া শান্তি ধন,
আনন্দেতে সবে কর হে পূরণ।
১। পঞ্চাশত্তমীতে , অগনি রুপেতে, স্বরগ হইহে কৈলা আগমন;
সেইরুপে নাথ হইয়া আগত ,করহ সবার বাসনা পূরণ।
২। অন্ধে দেও নয়ন, খঞ্জেরে চরণ, দীন জনে শুনাও মঙ্গল বহন,
অজ্ঞানে দেও জ্ঞান, বোবায় করুক গান ,মৃতজনে প্রাণ,
পাপজিনে ত্রাণ!
৩। শুন পিতা শুন, যীশুর কারণ , আমা সবাকারে কর আত্মা দান;
তোমার কৃপাতে নূতন হৃদেতে ,পূজিব তোমারে এই আকিঞ্চন।
মথুরানাথ বসু(১৮৯৫)

প্রিয়জনের জন্য প্রিয় উপহার !

গানগুলো ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন

Total Pageviews