নিচে আপনার পছন্দের লেখকের নাম বা গানের শিরোনাম টাইপ করুন
গানের শিরোনাম
MP3 Dwonload
১৮৪ ১। উঠ, উঠ, ভাই ভগ্œী, উঠ মোহ-নিদ্রী পরিহরি,
হেরি মাতৃভূমি দশা, নয়নে বহে না কি বারি?
দেখ গো দেখ ত্রাণ ছাড়ি, ভুরি, ভুরি,
মৃত্যুমুখে পড়ে সব নর-নারী।
ধূয়া- সুসংবাদ ল’য়ে শিরোপরে,
যাও গ্রামে গ্রামে প্রতি নগরে,
কেঁদে কেঁদে বল প্রতি জনারে,
যীশু মরেছেন তোমই তরে রে।
২। পর পর, সযতনে; পর ঈশ-দত্ত-রণ-সজ্জা,
বীরসম রণক্ষেত্রে, ধেয়ে চল, ত্যজি সব লজ্জা;
দেখ গো ছাড়ি পাপ র’হে নরপূজ্যা।
৩। সাধ, সাধ দাস্যকর্ম, সাধ নিরভয়ে প্রাণপণে,
বাধা-বিঘœ যত হবে, সুদূরে পলাবে নাম শুনে,
ত্রাসিত হবে শয়তানে, দরশনে,
ঈশতেজ প্রতিভাত মরভূমে।
-রসময় বিশ্বাস
১৮৫ উঠ ভক্ত, উঠ বীর,
খ্রীষ্ট চরণে, প্রণত করিয়া শির,
প্রেমের মন্ত্র, সেবাব্রত লহ, সকল ধরিত্রীর।
যেখায় বেদনা বাজে সেথা বুক দিবে পাতি;
তোমার প্রাণের আলো উজলিবে মোহ-রাতি;
আনো আনন্দ, ঘুঁচাও বন্ধ, মুছাও অশ্রুনীয়।
গুরুর প্রণামী দিতে কি দান এনেছো আজ?
সন্ন্যাসী সে যে গুরু, ভিখারীর মহারাজ,
সব যে সে চাহে, ভক্তেরা গাহে বিজয় বৈরাগীর।
-যতীন্দ্রকুমার বিশ্বাস
১৮৬ হরষিত মনে ভক্ত, ক্রুশ কাঁধে লও,
যে পথে গিয়াছেন যীশু, সেই পথে ধাও,
ফিরি সবার দ্বারে দ্বারে, ক্রুশ-সঙ্গীত গাও।
১। অপূর্ব ক্রুশের কথা, সবারে শুনাও,
প্রেমময়ের প্রেম-ফল পাপীরে বিলাও।
২। নিজে মাতি যীশুর প্রেমে অপরে মাতাও,
আশাহীনে সযতনে ক্রুশের কথা কও।
৩। ক্রুশে বিদ্ধ শান্তি-রাজে পাপীরে দেখাও,
ক্রুশে প্রাণ ক্রুশে ত্রাণ ঘরে ঘরে গাও
-মদনমোহন বিশ্বাস
১৮৭ প্রভু যীশুর প্রেমের রাজ্যে, কত সুখ ভাই তা বলা যায় না,
যে এসেছে, সেই মজেছে, অন্য রাজ্যে গো যেতে চায় না।
১। অন্য রাজ্যে ঋণের তরে, কেঁদে মরে হা হা ক’রে,
আমার দেনা কেউ চাহে না, যীশু নিজে গো শোধেন দেনা।
২। মহামারী এলে দেশে, লোকে মরে মহা ত্রাসে,
আমি কিন্তু হেসে হেসে করি যীশুর নাম সাধনা।
৩। কি খাব কি পরব ব’লে, মহা ব্যস্ত আর সকলে,
আমি যীশুর রাজ্যে এসে, তেমন ভাবনা আর ভাবি না।
৪। অন্য রাজ্যে ছোটই ছোট, বড় কভু হয় না ছোট,
যীশুর রাজ্যে বড়ই ছোট, ছোট কে ভাই ছুটে আয় না।
৫। শমন বাড়ীর খেয়ার নামে, চড়তে লোকে মরে ভয়ে,
যীশু কিন্তু স্বয়ং এসে, আপন প্রজার করেন ঠিকানা।
-প্রেমচাঁদ নাথ
সে বল শোণিতে, বল শোণিতে;
মন্দ পরে জয়ী হও ইচ্ছা কি?
ধূয়া- আছে বল , বল, অদ্ভুত কার্যে বল,
শোণিতে শোণিতে,
আছে বল,বল, অদ্ভুত কার্যে বল,
হত মেষের শোণিতে, বল ।
২। ইচ্ছা কি, গর্ব কি ক্রাধ মুক্ত হও?
সে বল শোণিতে, বল শোণিতে,
যাও কালভেরীতে ধৌত হইবারে,
সেই শোণিতে আশ্চর্য বল।
৩। ইচ্ছা কি তুষার হইতে ও সাদা হও?
সে বল শোণিতে, বল শোণিতে
প্রাণদায়ী ¯্রােতে সব পাপের দাগ ধোও,
সেই শোণিতে আশ্চর্য বল।
৪। ইচ্ছা কি যীশুরই দাস হইতে চাও?
সে বল শোণিতে, বল শোণিতে,
ইচ্ছা কি দিন , তাঁহার গৌরব গাও?
সেই শোণিতে আশ্চর্য বল।
১৯৩ যদি যীশুর শক্তি পেতে চাও, অতি ন¤্র হও,
ধর সত্য উপায়, জগৎ ত্রাতায় দেখাইলেন;
(ও ভাই) নত হয়ে সবার প্রাণ গলাও।
১। ক্রুশেতে উত্থিত হইলেন , আকর্ষণ করিলেন,
তাই মোদের তারিলেন;
নিজে হলেন নত, বিধি মত, ভাই রে,
কেন ঐ আশীর্বাদ ফেলে যাও।
২। হায়! উপদেশ আর খাটে না, কঠিন প্রাণ ফাটে না;
তায় পাপী গলে না;
মনের কথা বল, বোঝা ফেল, একেবারে
বল, প্রভু যীশু প্রাণ বাঁচাও।
৩। শুন, ধন্য বলেন যীশু তায়, ন¤্র মন আছে যার,
সে ধরা করে জয়;
দুঃখে বুক ফেটে যায়, থাকতে উপায় ,(যীশুরে)
সাথী না করিতে সদা চাও।
১৯৪ এস যীশুর কাছে তোমরা)
পাপের জ্বালা, মনের ময়লা, একেবারে যাবে ঘুঁেচ।
১। যীশুর মত আর কে আছে, পাপী ভালবাসে,
(তোমায়) বাঁচাইতে পাপ হইতে, প্রাণ দিয়াছেন ক্রুশ গাছে।
২। ঐ দেখ শমন দাঁড়িয়ে আছে, ভয়ঙ্কর বেশে,
(যখন) ধ’রে কেশে, বাঁধবে কসে, কান্নাকাটি হবে মিছে।
৩। টাকা-কড়ি বাগান বাড়ী, সকল জেন মিছে,
(যদি) নিত্য সুখে, পরলোকে থাকিবে চাও অবশেষে।
৪। প্রেম-ভক্তি, শান্তি-প্রীতি, আছে যীশুর কাছে,
(এ সব) দিয়ে তোমায়, সেই দয়াময়, সাজাইবেন নূতন সাজে।
অনুকূলচন্দ্র ঘোষ
১৯৫ এস পাপী আমার নিকটে, আমি শান্তি দিব,
পাপের যাতনা যাবে, অমৃত জল পান করাব।
১। ওহে নর পরিশ্রান্ত, পাপ-ভারাক্রান্ত,
সুখী হইবে নিতান্ত, আমি তব সঙ্গে র’ব।
২।ওহে পাপী ফির ফির,কেন পাপে জ্বলে মর?
আসিছে দিন ভয়ঙ্ক, কে সহায় হইবে তব?
৩। পাপেতে হইয়া রত, জীয়ন্তে হয়েছ মৃত,
হও পাপী পরিস্কৃত, তোমার বোঝা আমি লব।
৪। আমি সত্য ও জীবন, আমি স্বর্গের সোপান,
আমাতে কর গমন, পিতার বাটী লয়ে যাব।
মধুসূদন সরকার।
১৯৬ শুন রে মানবগণ, ঈশ্বরের নিমন্ত্রণ,
তিনি ডাকিছেন পাপীগণে, লভিবারে পরিত্রাণ।
১। দয়া ক্ষমা শান্তি পাবে, ২। ক্ষুধিত তৃষিত যারা,
যারা বিশ্বাসী হইবে, সুখাদ্য পাইবে তারা
ও ভাই, পাপ তাপ দূরে যাবে, ও ভাই, সুস্থ হবে অন্ধ খোঁড়া
পাইবে পুণ্য বসন। গোঙ্গা আদি রোগীগণ।
৩। এ আনন্দের সমাচার, ৪। স্বর্গীয় যত ভুষণ,
যীশু করিলেন প্রচার, যীশু করেন বিতরণ,
তা শুনলে পরে প্রাণ জুড়ায় আছে তাঁর রক্তে ক্রীত ধন,
শীতল করে তাপিত মন। যাহা পাপীর প্রয়োজন।
গগন চন্দ্র দত্ত
১৯৭ ওহে ভাই, যীশুর চরণ কেন ধর না?
সে চরণ ধরলে, প্রাণ শীতল হবে, ঘুচবে পাপের যন্ত্রণা।
১। বিষয় মদে মত্ত আছে, নাইকো কিছু চেতনা,
তুমি অবশেষে, বাঁচবে কিসে, নাইকো কিছু তার ঠিকানা।
২। ভব মাঝে যে সব আছে, সঙ্গে কিছু যাবে না,
এই অসার ভরে, কেন তবে, করছ সদা ভাবনা।
৩। যীশুতে বিশ্বাস কর, ঘুঁচবে সব ভাবনা,
তুমি ইহকালে সুখী হবে, পরেও পাবে সান্ত¦না।
গগন চন্দ্র দত্ত
১৯৮ ধর লও রে ঈশ্বরের প্রেম যীশু ডাকেন আয়
আমার যীশু ডাকেন, আয়, আমার প্রভু ডাকেন আয়।
১। এ প্রেম যে বা নিল মুক্ত হ’ল সকল পাপ দায়।
২। এ প্রেম স্বর্গপুরে মর্ত্যপুরে সকলে মাতায়।
৩। এ প্রেম হৃদয় ভরে নিলে পরে সকল দুঃখ যায়।
৪। এ প্রেম ভবে এসে মানুষ বেশে পাপীরে তরায়।
৫। এ প্রেম কলসী কলসী ঢাল তবু না ফুরায়।
৬। এ প্রেম যে পেয়েছে সেই মজেছে, কিছু নাহি চায়।
৭। যীশু আপনি মালী মাথায় ডালি, প্রেম-ধন বিলায়।
৮। তাঁকে ধর যদি বাঁচবে তুমি হ’তে নরক-দায়।
নবীন বিশ্বাস
১। যীশু শান্তিদাতা, তোমার ত্রাণকর্তা প্রেমময়; এখন
বিশ্বাস ক’রে চলে এস, দিন ব’য়ে যায়, নাই উপায়।
২। যীশু স্বর্গ ছেড়ে, দাসের রূপ ধ’রে এ ধরায়; পাপী
নরের তরে, ক্রুশোপরে সমর্পিলেন কায়--দয়াম।
৩। যীশু মধুর স্বরে, ডাকিছেন তোমারে, এ সময় ; যত
পরিশ্রান্ত, ভারাক্রান্ত, আমার কাছে আয়-- সুসময়।
৪। এখন কুপথ ছাড়, পাপ স্বীকার কর, সরল হও;
সবে প্রার্থনাতে যীশুর কাছে, মনের কথা কও ত্রাণ লও।
৫। দেরি করো নাকো, সুযোগ ছেড়ো নাকো আর , হেলায়;
কোন দিন শমন এসে বাঁধবে কোসে,
দিন বয়ে যায়, নিরুপায়।
৬। সুযোগ ছেড়ে দিলে, বিস্তর কাঁদিলেও পাবে না ত্রাণ;
এখন তাপিত হৃদে, কেঁদে কেঁদে , লহ পরিত্রাণ, বাঁচাও প্রাণ।
৭। মনে দেখ ভেবে, কদিন থাকবে ভবে, সময় যায়।
এখন সরল মনে ডাক তাঁরে, দিন বয়ে যায়, নাই উপায়।
শলোমন শান্তিনাথ বিশ্বাস
২০৩ পরিত্রাণ চাহ যদি মান, মান এই কথা,
যীশুতে বিশ্বাসী হ’লে সত্যই ঘুঁচে মনের ব্যথা।
১। যদি বল কি দেখিয়ে, তাঁতে বিশ্বাসিব গিয়ে?
আছে আছে চিহ্ন আছে, হাত-পা তাঁর প্রেকেতে গাঁথা।
২। রাজার রাজা বল তাঁরে, তাঁর কি সোনার মুকুট আছে?
আছে আছে মুকুট আছে, সোনার নয় তা কাঁটায় গাঁথা।
৩। কেমনে জানিব আমি, আমায় ডাকিতেছেন তিনি?
ক্রুশে প্রসারিত বাহু, ডাকিছেন তোমারে তথা।
৪। লোকে তাঁরে বিশ্বাস ক’রে, কি ফল লভে এ সংসারে?
পরকালে নিত্য সুখ, যদিও ক্রন্দন হেথা।
৫। মহা দুরাচার আমি, আমায় কি তারিবেন তিনি?
সত্য সত্যই তারবেন তিনি, এ কথার নাহি অন্যথা।
প্রেমচাঁদ নাথ
২০৪ পাপী, কোথায় যাও, কোথায় যাও,
ঐ ক্রুশের দিকে চাও,
যীশুর কাছে এসে, এক নিমিষে,
দুঃখ ও শোক মিটাও।
১। পাপে ভারাক্রান্ত, পথভ্রান্ত, আর কেন বেড়াও,
দেখ আসছে নিশা, ঘোর দুর্দশা, এই বেলা পালাও।
২। তুমি সুখহারা, শান্তি-ছাড়া, কোথায় ধাবিত হও,
মিছে মরছ ঘুরে, ঘানির ফেরে, এখন মন ফিরাও।
৩। তোমার তাপিত হৃদে, কেঁদে কেঁদে , পাপ দূর ক’রে দাও,
থেকে যীশু-পদে, নিরাপদে, শেষ জীবন কাটাও।
৪। দেখ স্বর্গানন্দে, সুখের গৃহে, বিশ্রাম-সুখ লও,
দূতের সাথে মিলে, ক্রুশ-তলে, ক্রুশ ও যীশু গাও।
৫। যীশু যীশু গান, সর্বক্ষণ, প্রাণ খুলে গাও,
প্রাণের আশা মত, মিলবে মধু, ঐ পায়ে লুটাও।
রাজেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়
২০৫ না ঘুঁচিলে মনের মলা,
ও সেই সত্য পথে যায় না চলা।
১। মন পরিঙ্কার কর আগে,
অন্তর বাহির হইক খোলা;
তবে যতœ হ’লে রতœ পাবে,
এড়াবে সংসারের জ্বালা।
২। ¯œানাদি বস্ত্র পরিস্কার,
অঙ্গে ছাপা জপমালা;
দেখ এ সকলি ভ্রান্তি,
কেবল লোক দেখান ছেলেখেলা।
৩। ভবনদী তরবে যদি,
তার যোগাড় কর এই বেলা;
যীশুর অসীম প্রেমে মগ্ন হলে,
ঘুঁচে যাবে মনের ম’লা।
মধুসূদন সরকার
২০৬ যীশু বিনে কেহ নাই এ সংসারে ,
এই মহা পাপের দায় কে উদ্ধার করে?
১। এই জগত মাঝে , যত জন আছে,
তারা সবে দোষী হবে, নিজ পাপ ভারে।
২। পিতা মাতা সুত, ভাই বন্ধু যত
তারা আমার পাপের ভার, নিতে নাহি পারে।
৩। ওরে আমার মন, ধর যীশুর চরণ,
যিনি তোমার পাপের ভার নিলেন মিরোপরে।
২০৭ আয় চলে আয়, দিন বয়ে যায় , যাবে যদি নিত্য ভবনে,
সংসার অসার , কেন ভুলে আছ মায়াবন্ধনে ?
১। বুঝে দেখ ভাই সকলি অনিত্য,
যীশু খ্রীষ্ট স্বয়ং সনাতন সত্য,
সেই নামে , অধমে , ভরে শান্তি পায় ইহ জীবনে।
২। ভীষণ মরণ সতত নিকটে,
পদে পদে তেমায় ঘেরে হে সঙ্কটে,
বিপদে , অবাধে , পাপী নিরাপদ হয় চরণ স্মরণে।
৩। ধর ধর ভাই যীশু প্রাণকান্তে ,
নিরাপদ হবে জীবন অন্তে,
মরণ ভয়, নাই সেথায় , হবে নিত্য সুখী সেখানে।
---রাজচন্দ্র সরকার ও ফুলসাহা বিশ্বাস(১৮৮৬)
২০৮ এস সবে যীশুর সদনে,
যদি সত্য পথ জানতে চাই মুক্তি পাবার কারণে।
১। যীশু সামান্য তো নয়, ঈশ্বর তনয়,
পাপী নরে তারিবারে , ভবেতে উদয়,
তিনি ভব নদী পারের প্রভু,
পার করেন কাঙ্গাল জনে।
২। যীশু নামের মহিমায়, সকলি তো হয়,
অন্ধ দেখে, খঞ্জ চলে, বোবায় কথা কয়,
নামে মৃতদেহে জীবন আসে,
সুস্থ হয় রুগ্ন জনে।
৩। যীশুর অদ্ভুত ব্যাপর, তুল্য নাহি তাঁর,
নররূপে নরের জন্য, সহেন পাপভার,
ও তাঁর বিমল আভায় , ভ্রান্তি পালায়,
শান্তি পায় ভক্তগণে।
৪। যীশু সত্র সনাতন , নিত্য সত্য ধন,
অনন্ত জীবন দাতা, বিপদভঞ্জন,
তাঁরে ভক্তিভাবে গ্রহণ কর,
প্রাণ মন প্রদানে।
----লক্ষ্মীনারায়ণ দাস (১৮৯৬)
২০৯ একবার ভেবে দেখলিনে তোর উপায় হবে কি?
তোরে দেখে নিরুপায় , সেই পরম দয়াময়,
কৃপা করি পাঠালেন আপন তনয়;
এখন যীশু খ্রীষ্ট পাপীর বন্ধু, স্বর্গে যাবার ভাবনা কি?
২। সেই যীশু দয়াবান, তোরে করিবারে ত্রাণ,
ক্রুশোপরে ত্যজিলেন আপনার পরাণ;
এখন বিশ্বস ক’রে চলে এস , যীশু বৈ আর উপায় কি?
প্রেমচাঁদ নাথ(১৮৯৬)
২১০ ও ভাই , মন ফিরাও সব জগদ্বাসী ,
চেতন হও রে , পোহাইল কালনিশি।
উদয় উর্ধ্বেরই অরুণ, কিবা সকরুণ,
ঐ দেখ ক্রুশোপরি আহা যীশু মশী।
১। ছাড় হে এখন , মায়ার স্বপন,
হের সে তপন , দিতেছে কিরণ , আহ পুণ্যহাসি;
সে যে সত্য মহাজন, পাপী জীবন,
ঐ দেখ কিনিল পাপীরে , দিয়ে রক্তরাশি।
২। চায় না রে সে জন, ওরে পাপী শোন,
কুল মান ধন , বিদ্যা বুদ্ধি পণ, কিম্বা রূপ যৌবন;
সে যে বিনামূল্যে তোরে , দিবে অকাতরে,
আহা মহা পরিত্রুাণ , হ’লে রে বিশ্বাসী।
৩। ভবের বাজার , ভাঙ্গিবে সবার,
কাঙ্গালের আর , যীশু বিনা পার, আহা নাই এবার;
সেযে দয়াল কান্ডরী , ভক্তির ভিখারী ,
শুধু ভক্তি দিয়া পার, হও রে আসি।
----মুন্সী আজিজ বারী(১৮৬৫)
২১১ প্রভু যীশুর মত ভাই , আর কেহ নাই (২)
পাপীর তরে , ক্রুশের পরে,
যীশু দিলেন প্রাণ(২)।
১। ভব নদী ভারী দুস্তর পাড়ি
তাছর নামে ভাই চালাও তরী
নামের বৈঠা বাহিয়া চল
যীশু করবেন পার(২)
২। যীশু পরম দয়ালু করুণাময়,
তাঁর করুণার সীমা নাই, সীমা নাই
পাপীর তরে ক্রুশের পরে,
যীশু দিলেন প্রাণ(২)।
৩। যে জন ডাকে যীশুর নামে
সে জন যাবে অমর ধামে
থাকিবে সেখানে অমর হয়ে
প্রভু যীশুর ঠাঁই(২)
২১২ ধ্যানো যীশুর প্রেম অপার প্রেম---
হৃদয় খুলে, প্রাণ ভুলে , ধ্যানো যীশুর প্রেম;
পিতায় ও মহিমায়, ত্যজি আইলেন দীনতায়,
পাপীগণে উদ্ধারণে, দীনপ্রাণে, স্বর্গদানে, মরিলেন কি প্রেমর
ধ্যানো যীশুর প্রেম----------------
তাঁরই রাজ্য হবে ----ধরাতে হবে
চিন্তা কর , চরণ ধর , পাবে শান্তি সবে;
নাই আর পাপোদ্ধার, স্বর্গে যাইবার অধিকার;
শান্ত মন , ত্রাণধন, লও এখন আজীবন সদানন্দে রবে।
ধর যীশুর প্রেম----
বল যেয়ে বল ---সবারে বলÑÑÑÑ
পরিত্রাণ প্রতি প্রাণ পায় যেন , বল;
হায়, হায় পাপের দায়! কত লোকে নিরুপায়, (জানতে চায়)
পাপের বল ও পাপের বল ও পাপের ফল , এড়াবে কিসে,
এ সকল ---তুমি যেয়ে বল।
(ঢালো যীশুর প্রেম---)
----উইলিয়াম কেরী
২১৩ ১। নাথ কেমন সুরবে
ডাকিছ পাপীরে,
করিতে তারে পরিষ্কার
অমূল্য রুধিরে।
ধূয়া---পাপী আমি হে ,
আসি তব ঠাঁই
কর ধৌত আমারে
ঐ রক্তে দয়াময়।
২। এ দুর্বল পামরে ,
দাও তুমি কত বল;
আর তব রক্তে ধৌত হয়
মোর কলঙ্ক সকল।
৩। সুমধুর আহ্বানে
ডাকিছ আমারে,
সম্পূর্ণ বিশ্বাস , সিদ্ধ প্রেম
ও শান্তি দিবারে।
৪ । যে শুভ কার্যটি
অন্তরে সাধিত হয়,
তা যীশু করেন আপনি,
বিনাশি পাপচয়।
৫। ভক্ত গণ সকলে
হৃদয়ে সাক্ষ্য পায়
যে, অঙ্গীকারের বস্তু সব
বিশ্বাসে পাওয়া যায়।
৬। কি দয়া চমৎকার ,
কি রক্তের গুণ অশেষ ,
কি গৌরব যুক্ত যীশু নাম!
কি ধন্য হত মেষ।
----নৃপাল চন্দ্র বিশ্বাস