নিচে আপনার পছন্দের লেখকের নাম বা গানের শিরোনাম টাইপ করুন
গানের শিরোনাম
MP3 Dwonload
২৭০ যীশু রতন, করি যতন, হৃদে রাখ না!
হৃদে রাখ না, আর মুখে গাহ না।
১। মানব মনোরঞ্জন, যীশু বিনা নাহি হেন;
ভক্তি-জোরে প্রেম ডোরে তাঁরে বাঁধ না।
২। তারিবারে পাপী নরে, অপার ভব-সাগরে,
ভাসাইলা এাণতরি, তা কি জান না?
৩ জীবন আকর তিনি, দীনবন্ধু গুনমণি,
বাঁচিতে বাসনা যদি, তাঁরে ভজ না।
৪। সবিনয়ে করে ধরি, চল না যীশুরে ধরি,
তাঁরি কাছে আছে তব চির সান্ত¦না।
-নৃপালচন্দ্র বিশ্বাস
২৭১ আমার জুড়াল প্রাণ এসে যীশুর পায়,
এসে দয়াল যীশুর শ্রীচরণতলে, আমার ঘুঁচল ভবের ভয়।
১। ঐ চরণে নাইরে দুঃখ ক্লেশ,
নাইরে ভবের জ্বালা পাপ অশান্তির লেশ,
বুঝি দুগ্ধমধুপ্রবাহী সেই দেশ, আছে ঐ চরণ তলায়।
২। মনে আমি করেছি মনন, প্রভুর ঐ চরণে থাকব সর্বক্ষণ,
আমার এই পাপ দেহে যাবৎ রয় জীবন, রব ঐ চরণ সেবায়।
৩। সময় যে দিন ফুরাবে আমার,
সে দিন যেতে হবে ছেড়ে এ সংসার,
আমি হ’য়ে যাব মৃত্যু নদী পার, প্রভুর ঐ চরণ নৌকায়--
-প্রিয়নাথ বৈরাগ
ঢেকে দিলে নিজ প্রাণ;
বিনিময়ে তার বন্ধু গো তুমি
সইলে অপমান।
মানুষের মাঝে ভেদ দেখ নাই,
অসীম ঘৃণা কুড়ালে গো তাই,
অশুচির দলে হ’লে তব ঠাই;
সমাজে পেলে না স্থান।।
যারা তোমারে বাসেনি ভালো
তাদেরও তুমি প্রভু,
আপনার মত বেসেছ ভালো
ঘৃণা কর নি কভু।
অসহ মৃত্যু যাতনার ক্ষণে,
জাগেনি ক্রোধ ঐ বিরাট মনে,
মহা করুণায় অজ্ঞান জেনে,
করে গেলে ক্ষমা দান।
২৭৪ মম আশা ওহে নাথ, চিরদিন কি মনেই রবে,
তুমি না পুরালে আশা, বল আর কে পুরাবে?
১। মরিয়ম সম তব, পদতলে পড়ে রব,
তোমার মধুর রব, হৃদি শীতল করিবে।
২। রাখি শির বুকে, যোহনের মত সুখে,
নিরখিয়া তব মুখে, আঁখি আশা মিটাইবে।
৩। বলিব কত বারতা , হৃদয়ের শত কথা,
শুনিয়া সে সব ব্যথা, তুমি সান্ত¦না করিব।
অমৃতল্লাল নাথ।
২৭৫ আমার রাখার কভু ঘুমান না,
আমার আর কিসের ভাবনা।
১। তিনি তৃণ- ভূষিত স্থানে চরান হে-----
আমার অসুসার আর হইবে না।
২। আমি সর্বশক্তিমানের মেষ, হে---
কেহ কেড়ে নিতে পারবে না।
৩। আমার চতুর্দিকে অগ্নি প্রাচীর, হে---
কেন্দুয়া ছুঁইতে পারবে না।
৪। আমার নাম ধরে ডাকেন সদা, হে---
আমি আর কারও রব শুনব না।
৫। তিনি রোগ -শোক-সঙ্কট-কালে হে---
সদা করেন আমায় সান্ত¦না।
৬। যিনি নিজ রক্তে কিনিয়াছেন, হে—
তাঁরে কখনও ছাড়িব না।
মধুসূদন সরকার(১৮৯৬)
২৭৬ কেমনে ভুলিব তাঁরে, যে জন কভু ভুলে না,
কি সম্পদে, কি বিপদে আমারে করে সান্ত¦না।
১। অনিবার যাঁর নয়ন আমারে করে দরশন,
একবার ভুলে কখন, মুদিত কভু হয় না।
২। দুগ্ধপোষ্য বালকেরে , জননী ভুলিতে পারে,
তথাপি যীশু আমারে বিস্মৃত হতে পারেন না।
৩। মম তরে অনুক্ষণ,জাগে রে তাঁহারি মন,
প্রহরী জাগে যেমন , সদাই চকিতমনা।
৪। যীশু ,তুমি মম ত্রাতা, বন্ধু, রাজা , পালক , ভ্রাতা,
তব ম পাব কোথা, তোমায় ভুলিতে পারি না।
---অমৃতলাল নাথ (১৮৮০)
১৭৭ ১। কি সুখের আশ্বাস যীশু আমার
আঃ কি গৌরবের স্বাদ চমৎকার!
অংশীদার ত্রাণের , ক্রীত তাঁহার,
আত্মাতে জাত, রক্তে ধৌত আর।
ধূয়া - এই মোর কাহিনী, এই আমার গান,
সারাদিন করি , তাঁর স্তুতি ও গান।
২। পূর্ণ সমার্পণ, পূর্ণ উল্লাস,
স্বর্গীয় দর্শন চক্ষে বিকাশ,
ঊর্ধ্বধাম হইতে অনেক দূতগণ,
করূণার ধ্বনি, প্রেমের গুঞ্জন।
৩। পূর্ণ পরিত্রাণ, পূর্ণ বিশ্বাস
প্রভুতে লিপ্ত সৌভাগ্যবান,
জাগি প্রতীক্ষায় উর্ধ্বে তাকাই
তাঁর পুণ্যে পূর্ণ,প্রেমে হারাই।
২৭৮ আজ তুমি আমার সঙ্গে স্বর্গধামে চলে যাবে,
আর এ যাতনা কখনো হবে না,
সুমিষ্ট সান্ত¦না তথায় পারে।
১। আমার পদচিহ্নে পদ দিয়ে দিয়ে,
পিছে পিছে তুমি এসো গো ধেয়ে,
অমৃত নগরে এখনি যাবে।
২। যত পাপী তাপী এস ক্রুশের কাছে,
অনুতাপে ক্ষমা প্রস্তুত আছে,
যাগ যজ্ঞ নিত্য , কিংবা প্রায়শ্চিত্ত ,
সকলি অনিত্য দেখতে পাবে।
৩। ওহে ক্রুশ, সমাধি, পুনরুন্থান,
গৌরবে বেষ্টিত স্বর্গারোহণ,
এমন সুন্দর সুগম্য সোপান,
বিশ্বাস নয়নে দেখতে পাবে।
---বিজয় নাথ সরকার