খ্রীষ্টীয় গানের বই - পরিত্রাণ



নিচে আপনার পছন্দের লেখকের নাম বা গানের শিরোনাম টাইপ করুন



খ্রীষ্টীয় গানের বই

গানের শিরোনাম
MP3 Dwonload

২২৪ ১। সুসমাচারের জন্য, ঈশ্বর হে!

তোমার প্রশংসা ৩-করি!
ধূয়া- হাল্লিলুয়া, হাল্লিলুয়া ,
হাল্লিলুয়া আমেন।
২। যে সময় আমরা অন্ধকারে যাই
স্বগীয় আলো ৩ – দিও।
৩। হে ঈশ্বর ! স্বগীয় জ্যোতিঃ মনোহর ,
জগতে প্রকাশ ৩-কর।
পাপীর পরিত্রণে স্বগে আনন্দ

২২৫ ১। স্বর্গে জয়ধ্বনি মহান্দম, ২। স্বর্গে জয়ধ্বনি, কি আনন্দ হয় ।

পাপীর মন পরিবর্তনে ; বিপথগামীর পুনমিলনে;
দেখ পথিমধ্যে পিতা দয়াময় একটি প্রাণী আজি বাঁচে
ধরেন তারে প্রেমালিঙ্গনে । প্রাণের দয়া ,
নূতন জন্ম পরিগ্রহণে।
ধূয়া- গৌরব ! গৌরব! ৩। স্বর্গে জয় ধ্বনি ভোজের
দূতগণে গায় ! আয়োজন,
গৌরব, গৌরব , ঝঙ্কারে বীণায় ; বিজয়েগীতি , দূতগণে গায় ,
মুক্তিপ্রাপ্ত যত সাধু সস্প্রদায় , মহামুল্য প্রাণটি বাঁচিল এখন
মহানন্দে একতানে গায় । বল সবে যারে পাও যেথায় ।
- (বাংলা) নৃপালচন্দ্র বিশ্বা

২২৬ ১। এক ¯্রােত ঃ আছে শোণিতের , ৩। শোণিতের শক্তি, হত মেষ

তায় পাপী ডুবিলে ফুরায় না কিছুতে ,
যায় সব কলঙ্ক পাতকের যাবৎ হয় শেষ ভক্তের প্রবেশ
সেই ¯্রােত ইম্মনূয়েলে। স্বর্গ মন্ডলীতে ।
ধূয়া - মোর বিশ্বাস , যীশু ক্রুশেতে ৪। সেই ¯্রােতঃ হেরি বিশ্বাসে,
করিলেন রক্ত দান , তুলেছি প্রেমের গান ,
পাপী যে আমি শোণিতে আজীবন গাইব হরষে
পাই যেন পরিত্রাণ । তোমারেই কৃত ত্রাণ ।
২। সেই ¯্রােতঃ দেখি , দস্যুর মন ৫। যাক্ এই নিস্তেজ রসনা
মরণে শান্তি পাই ; বাক শূন্য করবে
হইলেও মোর সেই পাপজীবন তুলব সেই গান , এই বাসনা
পবিত্র হব তায় । স¦র্গের মধুর স্বরে ।
- ডবলিউ, কেরী (১৯১১)

২২৭ ১। যে দশা মোর নাই কোন গুণ , ২। যে দশা মোর পারি না আর ,

দিলে শোণিত আমার কারণ, পাপ দাগ দূর করিতে আমার
ডাকছ আমায় তুমি এখন ধুুতে চাই সব রক্তে তোমার
তাই যীশু আসিলাম । তাই আসিলাম ।
৩। যে দশা মোর – গভীর সংশয় ৪। যে দশা মোর অন্ধ দীনহীন
ভীষণ সমলে কত ভয় ধন , বল , জ্ঞান , হৃদয় নবীন ,
অন্তরে বাহিরে উদয় তোমাতে সব পাবে এ দীন
তাই যীশু আসিলেন । তাই যীশু আসিলেন ।
৫। যে দশা মোর করবে গ্রহণ ৬। যে দশা মোর প্রেমে তোমার
পাপ সব মোর করে প্রক্ষালন বাঁধ সকল ছিড়িল এবার ,
তোমায় করি বিশ্বাস এখন হই যেন তোমার অনিবার
তাই যীশু আসিলাম । তাই যীশু আসিলাম।
- বিমলানন্দ নাগ (১৯১১)

২২৮ ১। পরিত্রাণ ,কি আনন্দ রব , ২। পাতকের বিষম পঙ্কেতে

শ্রবণে কেমন সুখ ! ডুবিয়া মরিলাম ,
তা শুকায় হৃদি ক্ষত সব , আঃ ! খ্রীষ্টের মহা কৃপাতে
ও ঘুঁচায় সকল দুখ । পুনর্বার বাঁচিলাম।
ধূয়া - গৌরব , সম্ভ্রম রাজ্য স্ততি ৩। পরিত্রাণের সুসমাচারে
নিত্য হউক যীশুর প্রতি , ভূমন্ডলে ব্যাপ্ত হোক ,
তিনি মোদের ত্রাণের পতি, সুমঙ্গল হেতু সবাকার
তাঁহার কর জয় জয়কার । গান করুক সর্বলোক ।
জে, ওয়াটস্

২২৯ ও তোর সর্ব পাপ আজ (ও পাপ ) ক্রুশেতে মেরে দে!

১। যদি যীশুর আত্মায় প্রাণ বাঁচাবি – ক্রুশেতে মেরে দে;
যদি শয়তানেরে জয় করিবি ক্রুশেতে মেরে দে ।
২। যদি যীশুর আনন্দে বেড়াবি ক্রুশেতে মেরে দে!
যদি যীশুর শান্তি ঢেউয়ে ভাসবি ক্রুশেতে দে ;
৩। যদি স্বর্গ সুখ ভোগ করিবি ক্রুশেতে মেরে দে;
যদি স্বর্গ প্রাণে পান করিবে ক্রুশেতে মেরে দে।
৪। যদি যীশুর আলোয় সুশ্রী হবি- ক্রুশেতে মেরে দে;
যদি স্বর্গ ভাষায় পন্ডিত হবি- ক্রুশেতে মেরে দে।
৫। যদি যীশু ফুল হার গলায় দিবি- ক্রুশেতে মেরে দে;
যদি যীশু গন্ধে দেশ মাতাবি- ক্রুশেতে মেরে দেও।
৬। যদি ধর্মাত্মাতে পূর্ণ হেিব-ক্রুশেতে মেরে দে;
যদি অক্ষয় মুকুট শিরে নিবি- ক্রুশেতে মেরে দে।
রাজেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়

২৩০ ১।উদিল তপন, জগত জীবন!

জাগরে এখন, মন অচেতন।
২।আঁধার ভুবনে দীপ্তি বিকীরণে,
দিতে ত্রাণধনে উদিত তপন।
৩।মহা জয় রবে জাগরিত সবে;
মৃত প্রায় ভবে সুধা বরিষণ।
৪।যীশু ভানুদয়ে আলোক হৃদয়ে,
মনের আঁধার করে পলায়ন।
৫।কর জয়ধ্বনি! যীশু গুণমণি
আঁধার ভুবনে প্রকাশিত হন।
-যাকোব বিশ্বাস

২৩১আঁধারে ঘেরা, দুঃখেতে ভরা, জীবন ছিল মোর

এমন জীবনে যীশুর আগমনে রাত্রি হল ভোর।
অন্ধ ছিলাম দেখিতে পেলাম
সুন্দর প্রভু মোর;
তোমার দয়ায় চিনেছি তোমায়
মুছে দিলে আঁখি লোর।
সকাল, সন্ধ্যে-দিবাতে বা রাতে
বলিতাম ঐ পথে,
অন্ধ আমি, দয়া কর স্বামী
ভিক্ষা দাও গো সবে
দুখের রাতি ঘুঁচালে তুমি
কেটে গেল সব ঘোর
তোমার আলোকে নূতন পুলকে
যাত্রা শুরু মোর।

২৩২ কে আছে আর তোমারই মতন--

ওহে দয়াল যীশু, পতিত পাবন;
তুমি রাজার রাজা, প্রভুর প্রভু নিখিল এই ব্রহ্মাগেÍর কারণ।
১।অপরাধের দও দিতে, বাসনা নাই তোমার চিতে,
পাপী-তাপী তরাইতে, ভবে তোমার আগমন,
মোদের সকল পাপের সাজা নিয়ে, তুমি ভুগিয়াছ মরণ।
২।আনন্দধাম হ’তে এসে, দুঃখময় এই পাপের দেশে,
পতিত মানুষের বেশে, তুমি ক’রেছ ভ্রমন;
যত দুঃখীর দুঃখ ঘুঁচাইয়াছ, মুছাইয়া দিয়াছ নয়ন।
৩।ক্ষমা করে দোষী জনে, দিয়াছ স্থন শ্রীচরণে,
অযোগ্য জন অভাজনে, তুমি করেছ গ্রহণ;
ভবে মিলাইয়াছ পেমের মেলা, শান্তি রাজ্য করে স্থাপন।
৪।যে যা বুনে সেই তা কাটে, তেমনি ফল পায় ভবের হাঁটে
সুবিচার তোমার নিকটে, শুনি শাস্ত্রের বচন;
আমি নরকযোগ্য মূঢ় মতি, আমাকে দিয়াছ চরণ।
৫।কি বলে আনন্দ জানাই, যীশু হে জগতের গোঁসাই,
তোমার তুল্য আর কেহ নাই, দেখলাম খুঁজে ত্রিভুবনে;
আমি বাঁধা রইলাম ঐ পাদপদ্মে, দেহে যাবৎ রয় এই জীবন।
-প্রিয়নাথ বৈরাগী

প্রিয়জনের জন্য প্রিয় উপহার !

গানগুলো ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন

Total Pageviews