নিচে আপনার পছন্দের লেখকের নাম বা গানের শিরোনাম টাইপ করুন
গানের শিরোনাম
MP3 Dwonload
২৫১ পেলেম জীবন যীশুর করুণায়,
আমি মরণে কি আর করি ভয়!
১। আমি জানিয়াছি পাপের যাতনা,
পাপ কার্যেতে সদা দুঃখ, মনে শান্তি থাকে না;
আমি পাপকে ছেড়ে খ্রীষ্ট ধরে পেয়েছি নূতন হৃদয়।
২। আমি যত দিন থাকিব ভরে,
আমার জীবনেতে প্রভু যীশুর গৌরব হবে;
গেলে পরলোকে, মন সুখে, হেরিব সেই দয়াময়।
বিন্দুনাথ সরকার
২৫২ ১। উজ্জল জ্যোতি জ্বালাই, যীশুর আজ্ঞাতে!
প্রদীপ যেমন জ্বরে, ঘরে রাত্রিতে;
অন্ধকারের মধ্যে আলো করি দান—
স্ব-স্ব স্থানে হই তাই দীপ্তিমান!
২। উজ্জল জ্যোতি জ্বালাই, যীশুর জন্যেতে,
নিবে গেলে, পড়বে তাঁহার দৃষ্টিতে;
স্বর্গ থেকে দেখেন মোদের দীপ্তি দান—
৩। উজ্জল জ্যোতি জ্বালাই, চারিদিকে রয়!
অন্ধকারের মধ্যে যাদের অভাব হয়,
দীন- দুঃখীর জন্যে করি প্রেমদান—
স্ব স্ব স্থানে হই তাই দীপ্তিমান।
ডবলিউ, কেরী
২৫৩ যীশুর আলো, কি উজ্জল, দেখাই খুলে প্রাণে কারে,
(দেখ) সূর্য লাগে কোথায়, তাঁর আলোর কাছে সব হারে।
১। ঐ আলো মোর অন্তর, ভাল মন্দের বিচার করে,
(তাই) সদা জেগে থাকি আমি, নির্ভর যীশুর উপরে।
২। এত জ্ঞান যীশুতে পাই, ভাষা নাহি সে সব বুঝাই,
তাই যীশুর গান আপনি গাই, যীশুর আলোয় তান ধরে।
৩। ভক্ত সকল সাবধান হও, যীশুর আলোয় প্রাণ মিলাও,
(সদা) চল, মাঝে থেম নাক, সর্বপূর্ণতার তরে।
রাজেন্দ্রলাল মুখোপ্যাধ্যায়
২৫৮ প্রেমেতে তরাইলেন যীশু পাতকী,
ও ভাই আর কিছু নাই বাকী।
২। নিজ প্রাণ দিয়াছ, প্রাণ বাঁচায়েছ,
ক্রুশ-মৃত্যুগুণে স্বর্গধামে যাব।
৩। তব রক্ত-¯্রােতঃ বহে অবিরত,
তাহে পাপ - প্রাণ আমি ধুয়ে লব,
৪। পরিত্রাণ পেয়েছি, প্রাণে বাঁচিয়াছি,
আমি যুগে যুগে তব গুণ গাব।
৫। যাব ঘরে ঘরে , ফিরি দ্বারে দ্বারে,
মধুমাখা নাম সকলে বিলাব।
প্রেমচাঁদ দাস
২৫৯ ১। মোর জন্য যীশু মরলেন, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
প্রায়শ্চিত্ত তিনি করিলেন, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা।
ধূয়া- কেমন আশ্চর্য ত্রাণকর্তা, যীশু মোর যীশু!
কেমন আশ্চর্য ত্রাণকর্তা, মোর যীশু হে।
২। তারঁ নাম প্রশংসা করতে চাই, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
তাঁর মৃত্যুর দ্বারা মুক্তি পাই, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা।
৩। মোর হৃদয় তিনি ধুইলেন, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
ও আমায় শাসন করিবেন, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
৪। মোর সঙ্গে চলেন প্রতিদিন, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
দেন শক্তি যখন শক্তিহীন, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
৫। জয় শক্রগণকে করিলেন, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
দেন তদ্রƒপ শক্তি আমাকে, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
৬। সব জীবন তাঁকে দিতে চাই, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!
থাকিব শেষে তাঁহার ঠাই, কেমন আশ্চর্য ত্রাতা!v
জন পেঙ্গওয়ার্ণ জোন্স
২৬০ আমায় তুমি ডাক দিয়েছ প্রভু তোমার কাজে
অন্তরে মোর তাই এত গান
তাই এত সুর বাজে।
তোমারি লাগিয়া ছিল কত কাজ
ছিল নাকো শুধু মম অবকাশ,
স্মরি’ সেই কথা ওগো মহারাজ,
চিত্ত ভরিছে লাজে।
লজ্জা আমার ঢেকে দাও আজি
মহা করুণায় তব।
জীবনের পথে দাও মোর সাথে
আশ্বাসবাণী নব;
শত ভুল করে চাহিনাকো আর
বাড়াতে বৃথাই বোঝা আপনার
অকৃতি অধমে লও গো এবার
তোমায় কাজের মাঝে।
২৬১ পারি না হে তোমায় ভুলিতে,
মোহিত হয়েছি যীশু, তোমার প্রেম- গুণেতে।
১। মনে পড়ে সেই দিনে, যে দিনে এ দীনে,
পরশিল তব চরণ, পাপে করি পরামনন,
সঁপিল তোমারে জীবন, মিলন হল তব সাথে।
২। ফুটিল প্রেমের ফুল, শুঙ্ক তরুমূলে,
বহিল প্রেমের ধারা, মরু পরে নিরাধারা,
৩। উদিল প্রেমের ভান, গুণসিন্ধু পেয়ে হাতে।
বিনাশিল তমোরাশি, রশ্মি-রাশি হৃদে পশি,
পোহাইল দুঃখ নিশি, মন-বিহঙ্গ মাত গীতে।
প্রেমচাঁদ নাথ
২৬২ এমন সুহৃদ এাতার কদাচ না ভুলিব,
বিপদেÑসম্পদে প্রভুর সঙ্গ নাহি ছাড়িব।
১। যিনি মম এাণ লাগি, দুরূহ যাতনাভাগী,
রোগ-শোকে-তাপে আমি, তাঁর সেবা করিব।
২। যে জন আমার তরে, প্রাণ দিলেন ক্রুশোপরে,
আমি সে জীবনেশ্বর, অপ্রেমে কি ত্যজিব?
৩। ক্রুশ লয়ে স্কন্ধোপরে, মুক্তকণ্ঠে উচ্চৈঃস্বরে,
প্রেমানন্দে প্রেমময়ের, প্রেম গুণ গাইব।
লক্ষ¥ীনারায়ণ দাস
২৬৩ যীশুর শোণিত-শ্রোতঃ বহিতে অবিরত,
তারিতে আমার মত পাপীরে।
১। আমি শুনিলাম যীশুর স্বর, হও পাপী পরিস্কার,
ডুব ডুব রে আমার ক্রুশ-রুধিরে।
২। আমি সে মধুর সুর শুনে ডুবিলাম ততক্ষণে,
যীশুর সর্ব পাপহারী স্রোত মাঝারে।
৩। মরি এ কিরে চমৎকার, পাপী হয় পরিস্কার,
এল স্বর্গ সুখ নরকসম অন্তরে।
৪। গাবে অপূর্ব ক্রুশ-গান, সর্বদা মম প্রাণ,
আমি জপিব যীশুর ক্রুশ অন্তরে।
অমৃতলাল নাথ
২৬৪ ১। কি মোর পাপ পারে ধুতে? কেবল মাএ যীশুর রক্ত
কি পারে নির্মল করতে? কেবল মাএ যীশুর রক্ত
ধূয়া- আঃ অমূল্য এই স্রোত, যা করে শুক্লবৎ—
এতে হই আমি ধৌত, কেবল মাএ যীশুর রক্ত।
২। পাপের প্রায়শ্চিত এই, কেবল মাএ যীশুর রক্ত;
মোর সৎকর্ম পারে নাই, কেবল মাএ যীশুর রক্ত।
৩। এতে আমি ক্ষমা পাই, কেবল মাএ যীশুর রক্ত,
এতে আমি সাধু হই, কেবল মাএ যীশুর রক্ত।
৪। এতে সুখ ও শান্তি পাই, কেবল মাএ যীশুর রক্ত,
এতে আমি নির্মল হই, কেবল মাএ যীশুর রক্ত।
২৬৫ ১। শুনিলাম যীশুর মধুর রব
হে পরিশ্রান্ত জন!
মোর বক্ষে রাখ তব শির
লও আসি বিশ্রাম ধন।
যেরুপ আছিলাম আসিলাম;
ক্লান্ত ও ক্লিষ্ট মন;
ও তাতে বিশ্রাম লভিলাম
আনন্দ সর্বক্ষণ।
২। শুনিলাম যীশুর মধুর রব
হে পিপাসিত জন;
দেই বিনামূল্যে জীবন-জল
পান কর লও জীবন।
আসি, পান করিলাম সে জল
যীশু দিলেন জীবন;
পিপাসা-শান্তি আত্তার-বল,
তাই থাকি তার সদন।
৩। শুনিলাম যীশুর মধুর রব
যে আমি দিবাকর;
মোর প্রতি চেয়ে দেখে যে
তার ঘুঁচে অন্ধকার।
দেখিলাম আমি যীশুর মুখ
রবি ও তারা মোর;
সে জীবনালোকে পাইব
এ জগত যাএা ঘোর।
২৬৬ মনের আনন্দে আজ ডাকি তোমারে
ওহে যীশু দয়াময়, যারা তোমার দয়া পায়,
তারা ধন্য হয় এই সংসারে।
১। আমার নয়নের জল, -তুমি কখন এসে মুছে দিলে
আমি জানি না দয়াল;
এখন যে দিকেতে চাই, সুখের কুল কিনারা নাই,
সংসার ভরা সুখের জোয়ারে।
২। আমার জীর্ণ তরী-মাঝে কখন এসে দাঁড়ালে হে
তুমি ভবের কান্ডারী;
এখন নাই আর কোনও ভয়, ঐ যে সামনে দেখা যায়,
তোমার সোনার পুরী অদূরে।
৩। শুনি চারদিকে, তোমার মধুর নামের মঙ্গলধ্বনি কেবল থেকে থেকে;
আমি ভরিয়া পরাণ, গাব যীশু নামে গান,
বড় আশা আছে অন্তরে।
৪। করি এই প্রার্থনা – তুমি থেকো সদা হৃদয় মাঝে দয়াল,
দূরে যেও না;
আমার নাই সাধন-ভজন, দিও নিজ গুনে চরণ,
চরণ ছাড়া করো না মোরে।
-------প্রিয়নাথ বৈরাগী
২৬৭ তুমি জুড়ালে মোর তাপিত পরাণ, পাপের ক্ষমা দিয়ে;
ধন্য হইল অসার জীবন, তোমার দয়া পেয়ে।
১। কেটে গেল মনের আঁধার, এল জগৎ জুড়ে সুখের জোয়ার,
কি শুভ দিন এল আমার, সারা জীবন ছেয়ে।
২। শুষ্ক মরু হলো সিক্ত, হল পূর্ণ যাহা ছিল রিক্ত,
ক্ষুধার্তকে কল্লে তৃপ্ত, অমৃত বিলায়ে।
৩। মিটে গেল সকল তৃষা, আমার নিরাশ প্রাণে জাগে আশা,
প্রাণ-পাখী পেয়েছে বাসা, ঐ চরণের ছায়ে।
৪। কি আনন্দ এল প্রাণে, হৃদয় পূর্ণ আজ গুন-গানে,
স্বর্গের শান্তি চরণ ধ্যানে, পেয়েছি হৃদয়ে।
৫। গাব সদা আনন্দ গান, রেখো ঐ চরণে বাঁধা এ প্রাণ,
রেখো মোরে হে দয়াময়, চিরদিন ঐ পায়ে।
-প্রিয়নাথ বৈরাগী
২৬৮ যে চরণে পেয়ে আশ্রয়, জুড়াল এ দগ্ধ জীবন।
১। যে চরণে রেখে মাথা, ভুলেছি এই ভবের ব্যাথা,
যে চরণে পেরেক গাথাঁ ছিল ক্রুশে পাপীর কারণ।
২। যে চরণে দীনহীনে, দিয়াছ স্থান এ জীবনে,
জীবনান্তে সেই চরণে, রেখো দাসে, এই নিবেদন।
-প্রিয়নাথ বৈরাগী
২৬৯ জগতবাসী! দেখ আমি,
কেমন রতন পেয়েছি।
যাঁর জ্যোতির প্রভায়, মোহিত হয়ে,
কুমতি ত্যাগ করেছি।
১। সংসারের লোকে যে ধনে বঞ্চিত,
সে ধনে ধনী হয়েছে;
ভক্তি সহকারে, হৃদয়-মাঝারে
যতœ করে সেই ধন রেখেছি।
২। বিদ্যা-বুদ্ধি-জ্ঞানে যে তত্ত্ব না পায়,
সে নামের মাহাত্ম্য জেনেছি;
ভ্রমতম দূরে, গেছে একেবারে,
পারাপারের উপায় পেয়েছি।
৩। কুল-শীল-মান-দেহ-মন-প্রাণ,
যীশুর পদে যতেœ সঁপেছি;
আমরা হয়েছি স্বাধীন, নহি পাপাধীন,
ভবের ভয় এড়ায়েছি।
-লক্ষ¥ীনারায়ণ দাস