নিচে আপনার পছন্দের লেখকের নাম বা গানের শিরোনাম টাইপ করুন
গানের শিরোনাম
MP3 Dwonload
৩১৯. ১। আঃ ! সুন্দর সুন্দর স্বর্গদেশ,
রম্য স্থান।
আঃ ধন্য যারা পায় প্রবেশ, রম্য স্থান!
কি নির্মল নদী সেথায়, বয়,
যার পাশে জীবন- বৃক্ষ রয়,
তার বার মাসে ফলোদয়,
রম্য স্থান!
২। না কাঁদে সেথায় কেহ আর,
সুন্দর দেশ!
না রাত্রি হয়, না অন্ধকার,
সুন্দর দেশে!
যে দেখে তথা যীশুর মুখ,
সে নহে অন্যে সমুৎসুক,
তাই তাহার পক্ষে চিরসুখ—
সুন্দর দেশ!
৩। না সেথায় দুষ্ট দুরাচার
পায় প্রবেশ!
না দুঃখ, মৃত্যু, শোক, বিকার
পায় প্রবেশ!
বিশ্বাসে জয়ী বিনা আর
না পাবে কেহ অধিকার,
ঐ যীশুতে পবিত্র নর,
পায় প্রবেশ।
৪। হায়! আমি কিসে পাই প্রবেশ,
যীশু নাথ!
মোর পুণ্য, শক্তি নাহি লেশ,
যীশু নাথ!
তুমি হে পাপের বলিদান,
তুমি তো নিজে পরিত্রাণ,
দেও অধিকার হে কৃপাবান,
যীশু নাথ!
৫। হে পিতা,মাতা, ভগ্নী, ভাই,
চলে আয়!
ঐ দেখ স্বর্গের মুক্তার দ্বার,
ঐ শুন স্বর্গের গান অপার,
সংগারে মগ্ন কেন আর,
চলে আয়।
জে এ ডি ম্যাকডোনান্ড
৩২০ আহা কিবা দেশ, মনোহর দেম, রোগ শোক প্রবেশ করে না;
তথা জীবন বায়ু বয়, মৃত্যু নাহি হয়, নাহি কোন ভয় ভাবনা।
১। দূতগণ সনে মিলি ভক্তগণে, গাইতেছে সদা আনন্দিত মনে,
জয় প্রভু যীশু;
তাদের নাহি দুঃখ-ক্লেশ, নাহি পাপ লেশ, সতত যীশুর বন্দনা।
২। চন্দ্র-সূর্য তথা নাহি প্রয়োজন, ঈশ্বরই সতত দিতেছেন কিরণ,
অপূর্ব কিরণ;
তথা রাত্রি নাহি হয়, সদা আলোকময় অন্ধকার কভু হয় না।
৩। যত ভক্তগণ করয়ে গমন, এ সংসার ত্যজি প্রভুর সদন---
স্বর্গ - ধামে;
যীশু তাদের নেত্র বারি আপনি নিবারি, মনেতে নিবেদ সান্ত¦না।
৪। এ পাপ – সংসারে পাপ -তাপ হেরে, ব্যাকুলিত যবে হও হে
অন্তরে- প্রিয় ভ্রাতৃগণ;
তখন করহ স্মরণ, স্বর্গীয় ভবন, ঘুঁচিবে মনোবেদনা।
গগনচন্দ্র দত্ত
৩২১ মন, ভেব না (৩) রে,
স্বর্গ- সুখ ভাব রে মন,
যাবে ভাবনা, রবে না ভাবনা(৩) রে!
১। দুঃখ – নিশি পোহাইবে, সুখ-ভানু উদয় হবে;
ভব- বন্ধন ঘুঁচে যাবে, সে দিন ভাব না (৩) রে।
২। শোক- তাপ দূরে যাবে, নেত্র- বারি না রহিবে;
দূতগণ সম হবে, তা কি জান না (৩) রে!
৩। দিবানিশি এ সংসারে, কাঁদে মন যাঁর তরে;
হেরিবে তাঁয় নয়ন ভরে, বিচ্ছেদ হবে না(৩) রে!
রামচরণ ঘোষ
৩২২ বিরাজে উপরে, স্বরগ মাঝরে
ভবন তোমার তরে;
যীশু স্ব-রুধিরে, নয়নের নীরে,
যতনে রচিলা তারে।
১। প্রিয়জন যত হয়েছে বিগত,
বর- বাঞ্ছিত বাস – পরিহিত,
রাখে শির সুখে, ত্রাণেশ্বর বুকে,
চুম্বিছে চরণ ও করে।
২। রোগ - শোক তাপ পশে না সেখানে,
হানে না পরাণ বিচ্ছেদের বাণে,
বীণা ধরি করে, ঘেরি ত্রাণেশ্বরে
ঝষ্কারে মধুর স্বরে।
৩। অক্ষয় কিরীটে শির সুশোভিত,
শুভ্র বসন অঙ্গে পরিহিত,
প্রভাতীয় তারা, কিবা মনোহরা,
শোভিছে তাদের শিরে।
মদনমোহন বিশ্বাস
৩২৩ সকল পথের শেষে এসে,
পেয়েছি প্রভু তোমার দেখা;
সকল সাথী গেছে ফিরে
তুমিই শুধু দাঁড়িয়ে একা।
পথের মাঝে বারে বারে
যতই গেছি দূরে সরে,
দেখি তবু ঘুরে ঘুরে
ঐ যে তোমার চরণ রেখা।
যদি কেহ শুধায় মোরে
এমন সাথী কে সে?
সুখে দুখে সকল কাজে
সদাই পাশে পাশে।
বলব আমি সবার মাঝে
সে সাথীর মোর খোঁজ মিলেছে
পরাণ আমার ভরে গেছে
সার্থক আমার যীশু ডাকা
নির্মলানন্দ সরকার
৩২৪ আয় মন চল যাই সেই নিত্যানন্দ ধামে;
যথা শান্তি নদী উথলিছে সদা যীশুর নামে
আনন্দের আর সীমা নাইরে।
১। তথা মূর্তিমান ত্রাণকর্তা পিতা যাঁর বামে;
(নয়ন হেরিব সকলে)
২। তাঁর প্রেক- বিদ্ধ হস্তপদ হেরিব গো প্রেমে;
(প্রেমধারা ফেলে নয়নে)
৩। সব দুঃখ তাপ ভুলে গিয়ে থাকিব আড়ালে;
(আনন্দের দিন কবে হবে রে)
৪। ঐ যে পাপের জ্বালা না রহিবে সে আনন্দ ধামে;
(চিরসুখে সুখী হবে গো)
৫। মোরা শমন ভয়ে ভীত নাহি হইব সেখানে;
(শমন ভয় দূরে যাবে গো)
৬। তথা সদানন্দে রব মোরা যীশুর গুণ গানে;
(যীশু মোদের সঙ্গে থাকবেন গো)
বিন্দুনাথ সরকার
৩২৫ ১। রবি শশী, গ্রহ, তারা যথা নাহি মনোহরা,
নাহি বহে মলয় পবন নাহি বারিধারা,
সে যে আমার আপন বাপের বাড়ী-যীশুর নিজের গড়া।
ধূয়া- এমন স্থান কি কোথাও পাবে ভূমন্ডলে ফিরি
সকল স্থানের সেরা সে স্থান নামটি সিয়োনপুরী।
ও তার নামটি সিয়োনপুরী- তার নামটি সিয়োনপুরী।
২। যথা রোগ মৃত্যু জ্বারা, নাহি আর অশ্রুধারা
নাহি বিচ্ছেদের বাণ নাহি শোকের ঝরা,
সেথা অশান্তি নাহিক, বহে নিত্তি প্রেমের ধারা।
৩। যথা দুগ্ধ মধুর ধারা, ক্ষরিতেছে নিরধারা,
যথা পাপের পিয়াসা চির শুস্ক পারা,
সেথা অমৃতের ¯্রােতস্বতী বহে মনোহরা।
৪। যথা দ্বাদশ কবাট ভিত মুকুতা মণি মন্ডিত
নিরমল কাচ সম ভাতে স্বর্ণপুরী,
সেথা ত্রাণভানুর আলোক মালায় সবে আত্মহারা।
৫। যথা জয় জয় রবে, দূতে পূঁজে সেই ধবে
চল তথা পিতা, মাতা, ভ্রাতা, ভগ্নী সবে
সেথা চির শান্তি-রসে ডুবে দুঃখের আগুন যাবে।
বিপিন বিহারী সাংমা
৩২৬ আনন্দ ধরে না মনে,
প্রিয় নাথের প্রেমালাপনে;
(মোরা) যীশুর প্রেমে বাদাম তুলে,
চলে যাব সিয়োন।
১। (শুন) শুভ সমাচার, (যীশু) খুলে স্বর্গ-দ্বার
জীবন-মুকুট হস্তে লয়ে ডাকেন বারে বারে,
(ওহে) যুদ্ধেতে বিজয়ী ভক্ত, স্বর্গ তোমার কারণে।
২। (স্বর্গ) পিতার ভবন, (অসংখ্য) সাধু দূতগণ,
নাচিছে গাহিছে সদা প্রফুল্ল বদন,
৩। (আছে) জীবন -বৃক্ষের ফল,(আর শান্তি- নদীর জল,
আহার পানে তৃপ্ত সব ভক্ততের দল,
(আমরা) তাহাদের সঙ্গে রব, চেয়ে যীশুর মুখপানে।
মধুসূদন সরকার
৩২৭ খুলে দাও সুবাদাম তুলে,
ও মন ভয় ক’র না ভরসা বান্ধ, পার পাবে বিশ্বাস হলে।
১। যদি যাবে সিয়োনপুরী, উজান জলে বাও হে তরী,
ও মন যীশু খ্রীষ্টের নাম কান্ডারী, ভাসাও তরী প্রেম- জলে।
২। সদা থাক সচেতনে, প্রভু যীশুর চরণ ধ্যানে,
ও মন ভগ্ন তরী পাপ- তুফানে, চড়ায় ঠেকে না যায় টলে।
৩। শক্ত করে হালি ধর, ভব সিন্ধুর পাড়ি সার,
ও মন সম্মুখ দিকে দৃষ্টি কর, সে দিক যেন না যাও তুলে।
৪। ডহর প্রতি দৃষ্টি রাখ, জল সেচিতে সদা থাক,
ভবের তুফান দেখে ডরিও নাকো, ঘন বৈঠা যাও হে ফেলে।
৫। ভয়স্কর ভব মাঝে, অচেতন ভাব নাহি সাজে,
ও মন না জানি কোন সময় পাছে, দেহ - তরী যায় হে টলে।
৬। দুরাচার অধীনে ভাবে, এমন দিন মোর কবে হবে,
ভবের পাড়ি সেরে সিয়োন গিয়ে, থাকব যীশুর চরণ তলে।
জান সরকার
৩২৮ ১। যষ্টি হাতে, দ্রুতবেগে
কোথা যাহ যাত্রিগণ?
রাজকীয় আজ্ঞামতে
চলিতেছি সর্বজন;
গিরি, গুহারণ্য ছাড়ি,
যাচ্ছি সবে রাজবাড়ী,
স্বর্গবাসী পিতার বাড়ী,
সেই সুন্দর সিয়োনে।
২। বল দেখি, কিসের আশে
যাইতেছ সেখানে?
নির্মল বস্ত্র গৌরব মুকুট
পাব ত্রাতার সদনে;
জীবন নদীর জল পানে
পরিতৃপ্ত হব প্রাণে,
নিত্য রইব ঈশ- সনে-
সেই সুন্দর সিয়োনে।
৩। ভাল, এরূপ নির্জন পথে,
চলিতে না শষ্কা হয়?
না; অদৃশ্য মিত্রবর্গ
নিত্য চতুর্দিকে রয়;
খ্রীষ্ট নেতা রক্ষাকারী,
আমা সবার সহচরী
লয়ে যান সব হাতে ধরি
সেই সুন্দর সিয়োনে।
৪। ওহে প্রিয় যাত্রিবর্গ,
আমরা যেতে পারি কি,
তোমাদেরই অনুসঙ্গে
যথা উজ্জ্বল পুরীটি?
এস এস শীঘ্র এস,
আমাদের এ দলে মেশ,
করি সবে সুপ্রবেশ—
সেই সুন্দর সুয়োনে।
নৃপালচন্দ্র বিশ্বাস
৩২৯ ১। মরু ভূমির মধ্য দিয়ে
প্রভু মম নেতা হও,
বল ও শক্তি শূন্য আমি,
আমার হস্ত ধরি লও
স্বর্গ মান্না, স্বর্গ মান্না,
প্রতি দিবসে যোগাও।
২। জীবনদায়ী জলেন উৎস
এখন যেন মুক্ত হয়,
স্তম্ভরূপী মেঘ ও অগ্নি
যেন মম পথ দেখায়,
দিবানিশি, দিবানিশি
হইও রক্ষক ও সহায়।
৩। শেষে যর্দন নদী- তীরে
যখন করি পদার্পণ,
মোরে ক’র নিরাপদে
কনান দেশে আনয়ন,
সেথা হইবে, সেথা হইবে
নিত্য তব সস্কীর্তন।
আর,পি,গ্রীভস