(প্রিয়) যীশুসহ গৃহবাসে; থাক প্রফুল্ল অন্তরে।
১। ঘটুক বিপদ, কিম্বা সম্পদ, থেকো যীশুর পদে পড়ে,
সুখের কথা, মনের ব্যথা, প্রাণ খুলে বলো তাঁরে।
২। তব সুখে কিম্বা দুঃখে র্স্বকালে পাবে তাঁরে,
দুঃখ কালে, করে কোলে, সান্ত¦না দিবেন তোমারে।
৩। যীশু সম করে প্রেম, এমন প্রেমিক নাই সংসারে,
সর্বগুণ-সাগর যীশু, যাও যাও লয়ে ঘরে।
৪। পিতার প্রেম, অনুপম, যীশুর কৃপা সহকারে,
আত্মার সাহায্য সদা, বর্তুক আমাদের উপরে।
প্রেমানন্দ সরকার
৩৯৩ দেখা হবে যে আবার—
(আজÑ) বিদায়ের ক্ষণে, শুধু জাগে মনে
সে কথাটি বারে বার।
দু’দিনের তরে এসেছিনু হেথা, দু’দিনের মেলামেশা
রহিবে অটুট এই সুখ-স্মৃতি, জাগাবে নূতন আশা।
এক ব্রতে ব্রতী এক আহবান
মুছে গেছে সব বাধা ব্যবধান
সবার হৃদয় এক প্রেম বাঁধা, বুঝেছি এ মনে সার
দেখা হবে যে আবার ।
জীবন-নদীর এ পারেতে যদি দেখা নাহি হয় আর
নাহি দুঃখ তায়, জানি যে মিলি এক প্রাণে
সে আনন্দ ধামে জয় জয় গানে,
শ্রী-যীশু চরণ ঘেরিয়া দাঁড়াবে অযুত ভক্ত তাঁর
দেখা হবে যে আবার।
৩৯৪ ১। সুরক্ষা যীশুর কোলে!
তাঁর বক্ষঃ আশ্রয় স্থান;
তাঁর প্রেমে হইয়া মগ্ন,
পায় বিশ্রাম তথায় প্রাণ!
ঐ শুন! সঙ্গীত ধ্বনি,
স্বর্গীয় দূতগণ গায়,
এ হৃদয় এখন যীশুর
শ্রীমুখের দীপ্তি পায়।
২। সুরক্ষা যীশুর কোলে!
নাই ভীষণ চিন্তার লেশ।
পরীক্ষা পাপে আমায়
না দিবে সেথা ক্লেশ!
যদিও কিঞ্চিত দুঃখ,
মোর তরে হেথায় রয়,
পাই সেথা গিয়া মুক্তি,
না হইবে সংশয় ভয়।
৩। হে যীশু, প্রিয় ত্রাতা,
মোর তরে হত প্রাণ,
সুদৃঢ় আশ্রয় গিরি
চিরন্তন আশায় স্থান।
দেও ধৈর্য আমার মনে,
রই তোমার অপেক্ষায়,
হয় যখন নিশি প্রভাত,
প্রাণ যেন তোমায় পায়।
এফ, জে, ক্রসবী
৩৯৫ (প্রভু) মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা করগো আলোকময়
একাকী পান্থ, ঘুঁচাও তাহার সকল দ্বন্দ্ব-ভয়।
প্রিয় ত্রাতা ওগো আশ্রয়,
অন্তিমকালে করো নিরভয়
জীবন নদীর পরপারে আসি দাঁড়াও জ্যোতির্মম।
সবারে ভুলিয়া যায় যে চলিয়া,
তুমি সাথী হও তার
ঝড় ঝঞ্ঝায় তরণী তাহার
নিরাপদে কর পার।
দূর কর তার জীবন কøান্তি
ভীতি সংশয় আঁধার ভ্রান্তি
দাও প্রভু তব অতুল শান্তি, হে চির শান্তিময়।
হেমেন্দ্র মল্লিক
৩৯৬ এ দেশীয় লোকের তুমি দেহ ধর্মজ্ঞান,
দয়াল প্রভু তোমার প্রতি, ফিরাও পাপী লোকের মন।
১। ছিন্ন-ভিন্ন বিভিন্নতা, হয়েছে সকলের হেথা,
ক্ষমা কর ওহে ত্রাতা, মনের কর সংশোধন।
২। নরকের পথ যেথা, গমন না করুক সেথা,
সবাই মানুক তোমার কথা, ইহাই করি নিবেদন।
৩।তুমি আছ জগৎপতি, সবার হউক তোমাতে মতি,
পৃথিবীতে দেবদেবী, না পূজুক আর কোন জন।
৪। অতি দীনদীন বলে, রেখো প্রভু চরণ-তলে,
ত্যজ নাকো পাপী ব’লে,করি তোমায় নিবেদন।
৩৯৭. মোদের জন্মভূমি বাংলাদেশ।
কোটি কোটি সন্তান পায়নি কো পরিত্রাণ
হাহাকার করে অবিরত।
১। সুনয়নে কে দিল গো আঁখিজল
নয় কি সে শয়তান, নয় দিয়াবল
পাপানলে চারিধার, করেছে হে ছারখার
কে নিভাবে এ আগুণ, কে নিবে ব্রত।
২। চেয়ে দেখ একবার বঙ্গমাতা
সম্মুখে তোমার কে ক্রুশেতে গাঁথা
তোমার তবে কত রক্ত ঝরে
কত রক্ত ঝরে (২),
তব তরে বহে অবিরত।
৩৯৮. ওহে যীশু বিশ্বপতি করুণা-আধার,
আমাদের দেশে কর প্রসাদ বিস্তার।
১। অভাগা এ দেশ তরে, আজি নিবেদি কাতরে,
হের যীশু ত্বরা ক’রে, কর আসি উপকার।
২। শৈলোপরি জ্যোতি সম, তব শোভা প্রিয়তম,
সত্য দীপ্তি অনুপম, হেথা করুক বিস্তার।
৩। দেব দেবী উপাসনা, পাপাত্মার আরাধনা,
পরিহরি র্স্বজনা করুক ও পদ সার।
৪। তব বাণী অনুপম, অরুণ কিরণ সম,
নাশুক পাতক তম, দেশবাসী সবাকার।
অমৃতলাল নাথ
৩৯৯. শান্তিরাজ, শান্তিরাজ্য, আন শীঘ্র এ ধরায়,
(ওহে) কাতরে বিনতি করি, তোমার যুগল পায়।
১। অপূর্ব প্রেম তোমার, জগতে হউক প্রচার,
(আহা!) যেন সর্ব নারী নর, তোমার শরণ লয়।
২। প্রেম প্রতাপ তোমার, যেন দেখে র্স্ব নর,
স্বার্থত্যাগ চমৎকার, দেখে ক্রুশতলে যায়।
৩। কাঁটার মুকুট শিরে, বেত্রাঘাত পৃষ্ঠ পরে,
প্রেক গাঁথা ঐ করে, যেন হৃদয়ে ধেয়ায়।
৪। তুমি নাথ রক্ত দানে, কিনিয়াছ র্স্বজনে,
প্রকাশ সবার প্রাণে, প্রেম মূর্তি জ্যোতির্ময়।
সত্যনাথ সরকার
৪০০. তব নিকেতন, নাথ! কর দরশন,
ঊর্ধ্ব হ’তে কৃপাবারি, কর বরিষণ!
১। দয়া করে দয়াময়, দিয়েছ এ ধর্মালয়,
শতমুখে করি তব প্রেম -সঙ্কীর্তন।
২। হ’য়ে মোরা এক মন, তব এই নিকেতন,
তোমার পবিত্র করে, করি সমর্পণ।
৩। কর হে বর দান, যেন এই পুণ্য স্থান,
তোমার প্রাসাদ হয়ে রহে অনুক্ষণ।
৪। তব গুণ সঙ্কীর্তন, পুণ্য বাক্য প্রচারণ,
হেথা যেন পাই সদা, করিতে শ্রবণ।
যাকোব কান্তিনাথ বিশ্বাস
৪০১. তুমি অধিষ্ঠিত হও এই গৃহে ঈশ্বর কুমার,
বিরাজ কর সবার প্রাণে, তুমি মূর্তিমান হও হৃদয়ে সবার।
১। তোমার শান্তি রেখে মনে, যেন সবে নিশি দিনে
থাকি ঐ শ্রীচরণ ধ্যানে,
সুখে দুঃখে চিরজীবন, থাকে অটল নির্ভর তোমার উপর।
২। দাও হে তোমার প্রতি, যেন তোমার দয়ার কথা
চিরদিন প্রাণে রয় গাঁথা;
কৃতজ্ঞতা তোমার প্রতি, যেন সবার মনে রয় নিরন্তর।
৩। দেও সবারে শান্তিমতি, অহঙ্কার, হিংসা, কুমতি,
সংসারের ভাবনা ভীতি
অমঙ্গল সব দূরে রাখ যেন পায় না স্থান এই গৃহের মাঝার।
৪। চালাও তুমি র্স্বজনে,তোমার প্রেমের আকর্ষণে
নগরের পানে,
যেন পায় স্থান তোমার পায়, যখন ভাঙ্গবে এ সংসারের বাজার।
প্রিয়নাথ বৈরাগী
৪০২. পুণ্য দিবসে হৃদয় আবাসে আহবানি তোমা হৃদয় নাথ,
ক্ষমিও মোদের শত অপরাধ রহিও সতত ভকত সাথ।
শিখাও তোমার প্রেমবাণী,
দূর কর পরাজয় গ্লানি;
নীরবতা মাঝে দেখা দিও প্রভু ধরিও অধম পাতকী হাত।
তোমার বাণীরে অন্তর মাঝে জ্বালায়ে রাখিব নিতি,
জীবনের প্রতি পদে পদে তুমি দিও তব প্রেম প্রীতি।
সেবা ও ত্যাগের মহিমা দাও
পুণ্য প্রভাবে ধরা মাতাও;
তোমার দিবসে ভরাও আশীষে সাথী হও প্রভু দিবস রাত।
অনিল সরকার
৪০৩. বড় প্রেমানন্দ মনে হে, বড় প্রেমানন্দ মনে--
প্রেমানন্দ মনে এখন ধন্যবাদ জানাই চরণে।
১। তুমি করেছ দয়া, রেখেছ আশ্রয় দিয়া,
দিতেছ চরণ- ছায়া কি রাতে কি দিনে।
আহার বস্ত্র যোগাইতেছে কাঙ্গাল দীনহীনে (দয়ামায়)
যত আত্মাবন্ধুর ¯েœহ দয়া সে সকল তোমার বিধান।
২। রোগের করেছ তত্ত্ব- যোগাইয়া ঔষধ পথ্য,
স্বাস্থ্যসুখ তোমার দত্ত-সার জেনেছি মনে।
কাঁদি যখন দুঃখে পড়ে, ধারা বয় নয়নে (দয়াময়)
এসে নিজ হাতে মুছাও চক্ষের জল সান্ত¦না দিয়া অজ্ঞানে।
৩। পাঠাইলে আপন নন্দন, এই পাপীর মুক্তির কারণ,
তিনি প্রায়শ্চিত্ত সাধন কল্লেন জীবন দানে।
জীবন মূল্যে কিনিয়াছ, আমার এই জীবনে (দয়াময়)
মনে আশা আছে অবশেষে স্থান পাব অভয় চরণে।
৫। কাঙ্গালের এই আকিঞ্চন, যতদিন রয় এ জীবন
তোমর নাম গুণ সংকীর্তন করব নিশিদিনে,
দেশ বিদেশে সুখ-দুঃখে আর জীবনে মরণে (দয়াময়)
আমি গাব তোমার ধন্যবাদ গান দিন কেটে যাক গানে গানে।
প্রিয়নাথ বৈরাগী
প্রভুর ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, কর আমার প্রাণ।
১। ভুলিয়া যেওনা তাঁর উপকার,
কর তাঁর নামের জয় জয়কার।
প্রভু ঈশ্বর স্বয়ং তোমার পরিত্রাণ;
আনন্দে কর তাঁর বন্দনা গান।
প্রভুর...
২। ক্ষমা করেন তিনি তোমার সকল পাপ
সুস্থ করেন তোমার সবে রোগ ও তাপ!
কূপ হতে মুক্ত করেন তোমার প্রাণ,
করুণার মুকুুট করেন তোমার দান।
তুমি যে ধূলি তা রাখেন স্মরণ,
প্রভু মোদের কৃপাবান, অতি মহান।।
৪০৬. সুরঃ দেখ প্রেমের মহাসাগর
১। দেখ যীশুর প্রেমের মহাসাগর
সীমাহারা সাগর প্রায়--
আমার দেহ, হৃদয় ধুয়ে
কোন অসীমে বয়ে যায়!
আমার নীচে, আমার ঘিরে
প্রেমের মহাধারা বয়,
সামনে, পিতার বাটির পানে
এ ¯্রােত আমায় বয়ে নেয়।
২। দেখ যীশুর প্রেম কী গভীর
তাঁর প্রশংসা গায় সবাই--
তাঁর সে মহান প্রেমের কোন
পরিবর্তন নাই গো নাই।
৪০৭ . তোমায় ভালবেসেছি,প্রভু তোমায় জীবন দিয়েছে,
আমি পাপের পথে আর, ফিরব না কোন দিন।
১। আেেস সম্মুখ পানে যদি তুফান ভারী,
জানি তোমার নামেতে, পার হতে পারি
আমি তোমারই নাম ধরে বেয়ে যাব
জীবন তরণী চিরদিন।
২। রাখি তোমার চরণ দু’টি হৃদয় মাঝে,
পথ হারাই নাকো, কভু সকাল সাঁঝে
জানি তোমার নামেতে পার হয়ে যাব,
জীবন সাগর এক দিন।
৩। যদি মরন আমার কভু সামনে আসে
আমি জানবো, তুমি তো প্রভু রয়েছে পাশে
এমনি করে যেন, পার হয়ে যায়,
জীবনের বাকী কটা দিন।
-পিটার পি. সরকার
৪০৮. যীশুর সেবায় শান্তি কত, জানে সেই জন,
সদা যীশুতে যার মন।
১। যে নিজ প্রাণে , যীশু প্রেম জানে,
সংসার সুখ সন্ধানে, না ফেরে সে জন।
২। যীশু প্রেম চাখে, যীশু প্রেম মাখে,
যীশু প্রেম অন্তরে রাখে, ভুলে না কখন।
৩। যে যীশুর তরে, ছাড়ে সংসারে,
যীশু নিজ শান্তি তারে করেন বিতরণ।
৪। পিতা কি মাতায় , সুহৃদ ভ্রাতায়,
ছাড়িলে সব পাবে হেথায়, অন্তিমে জীবন।
৫। দুখে কি দুখে ,যীশু নিজ বুকে,
রাখিয়া নিজ ভকতে করেন আলিঙ্গন ।
৬। বিদল হতে ,ভয় সম্পাতে,
পাপ , শঙ্কা,পরীক্ষাতে , নাহি তার পতন।
৭। শেষাবস্থাতে, মৃত্যুচ্ছায়াতে,
যীশু থাকেন ভক্তের সাথ, সান্ত¦নার কারণ।
--অজ্ঞাত
৪০৯. ছোট ছোট জীবন গাড়ী,
মানুষের তৈরি গাড়ী নয়,
সুন্দর সুন্দর জীবন গাড়ী,
তাহার ভিতরে আত্মা রয়।
দুই স্টেশনে এ গাড়ী থামে ,
নামব নরকে বা স্বর্গে,
যদি স্বর্গে যেতে চাই
সাইবেল আমাদের পথ দেখায়।
ইঞ্জিন ঘোড়া গুরু নাই,
দুই পায়ে চলে যায়,
দূর দূর দূর যাত্রা করে
কেমন সুন্দর গাড়ী ভাই।
তোমার টিকেট দরকার হয়,
যীশুর নামে পাওয়া যায়,
টিকেট কিনতে নাই পারো,
যীশুই বিনা পয়সায় দেন।
যীশু ড্রাইভার না হলে
গাড়ী বিপদে পড়ে যাবে,
যখন মৃত্যু ঘন্টা বাজে,
তকনই জীবন গাড়ী থামে।
৪১০. যীশুর নাম ও মহিমা
প্রভু যীশুর নাম সমগ্র জগতে
যাতে মোরা পাই পরিত্রাণ,
আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে
আর কোন নাম দত্ত নাই
(কেবল ) প্রভু যীশুর নাম সমগ্র জগতে,
যাতে মোর পাই পরিত্রাণ।
১। তিনি প্রথিবীতে এলেন রক্ত বহাইলেন,
পাপের জন্য মূল্য দিলেন।
আমাদের বাঁচাতে মুক্তি দিতে
যীশু ক্রুশে প্রাণ দিলেন।
২। যে বিশ্বাস করিবে প্রভু যীশুর নামে
জীবিত রবে সর্বদাই,
তিনি পথ, তিনি সত্য, তিনিই অনন্ত জীবন।
৪১১. এনেছি আজ হৃদয় খানি তোমার পায়ে দিতে,
তোমার প্রেমের পরশমণি পরাণ ভরে নিতে।।
আমার গানের মাল্যখানি ,
আমার বীণার সুরধ্বনি
বাজবে শুধু তোমার লাগি,
ধরার আঙ্গিণাতে।
নয়নে মোর রইবে তুমি
দূর হবে আঁধার
তুমি প্রভু জীবন জ্যোতি,
আলোর পারাবার।
দীনের আশা পূর্ণ কর,
ওগো প্রভু মরোহর ,চাইগো যীশু জীবনে মোর
তোমারে লভিতে।
৪১২. আমারে যা দিলে প্রভু
বিলাব তা জগৎজনে,
তোমার বানী প্রচারিব,
সকল কাজে সকল ক্ষণে।।
সবার সাথে আমার সুখ ,
মালার মতো গেঁথে লব
পরের ব্যথার বন্ধু হয়ে সন্ত¦নার বানী কব।
ফুলের মত হয়ে আমি,
তুষব সবে দিবস যামি,
গানের সুরে জাগাবো গো;
আছে যারা অচেতনে।।
কথাঃডেভিড বি.আর সরকার
সুরঃডেভিড মৃণাল দাস
৪১৩. ঈশ্বর হৃচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন
সুর যীশুর আরো কি উজ্জ্বল
প্রভুর সেবায় কি আনন্দ কার্যে ,দানে সব সময়
উথলে হৃদয় সিন্ধু ,নিরানন্দ দূরে রয়!
১। দরিদ্র বিধবার মত
হউক মোদের হৃষ্টচিত্ত;
দান করিতে সাধ্যমত,
নাহি শঙ্কা নাহি ভয়।
২। পাঁচখানা রুটি, দু’টি মাছ
দিতে বারক করে নি রাজ;
(তাতে) প্রভু সাধিলেন মহাকাজ,
পাঁচ হাজারে তৃপ্ত হয়।
৩। দীনহীনের এ ক্ষুদ্র দান
জ্ঞান ,আত্মা, মন প্রাণ
তোমার সোবায় হে মহাপ্রাণ
যেন সদা গ্রাহ্য হয়।
--বিপিন বিহারী সাংমা
৪১৪. চিনেছি তোমায় যীশু, তামায় জেনেছি
তাই কাছে আমি এসেছি।
নিজেরে বিলায়ে দিয়ে হলে প্রেমময়,
যে প্রেমের জানি হয় না তো ক্ষয়।
সে প্রেমেতে আামি তোমাকে ভালোবেসেছি।
যতই দেখি তোমায়
মানি যে বিস্ময় ,
এ জীবন নতুন করে
বিকশিত হয়।
এত ভালোবাসা যে কেহ বাসে নাই,
কুকে তুলে নিয়ে দিলে পাশে ঠাঁই।
ক্রুশের বোঝা তাই কাঁধে তুলে নিয়েছি।
---অপূর্ব কুমার হালদার
৪১৫. প্রিয় যীশু দেখে তোমায় অবাক হই,
ক্রুশে তোমার ভালোবাসা বুঝতে পারি কই!
আমি যে আলো ক্ষীণ জোনাকি,
সূর্য তুমি সাহস নেই যে ডাকি।
তবু তোমার আলো দিলে
যোগ্য আমি নই।
আমার পূরবী গান
হ’ল যে ভৈরবী,
মনোধুপে ভরলো জানি
মধুর সুরভি।
ক্ষমা তোমার পেতাম না যদি
শুকিয়ে যেত জীবনের এ নদী।
ধন্য হলাম পেয়ে
তোমার সাগর অথৈ।
----অপূর্ব কুমার হারদার
৪১৬. এ মন তরীর ধর হাল,
যীশু তুমি বিনে এ যে বেসামাল।
এক তো মোর জীর্ণতরী,
পাপ ভারে উঠল ভরি,
মাঝ দরিয়ায় ডুবল যে দয়াল।
তোমারি নাম যে কেবল
আমারি পারেরই সম্বল;
তোমার দয়ার আমি যে কাঙ্গাল।
অপূর্ব কুমার হালদার
৪১৭ . ১। প্রভু ,তব আশস সহ
ভক্তগণে দেও বিদায় ;
তব শান্তি , অনুগ্রহ
প্রদান কর হে সবায়;
শান্তিদাতা , শান্তিদাতা , জীবন যাত্রার হও সহায়।
২। তব জীবন বাক্যের হেতু
করি তোমায় ধন্যবাদ;
তুমি পরিত্রাণের সেতু,
দেহ মুক্তির আশীর্বাদ;
তোমা বিনা ,তোমা বিনা কে পূরায় মনের সাধ?
মুল ঃ জন ফসেট
অনুবাদ ঃ নৃপালচন্দ্র বিশ্বাস(১৮৯৫)
৪১৮. তুমি আলফা তুমি ওমেগা
তুমি ঈশ্বর পুত্র মানবত্রাতা
এলে তুমি আজ এই ধূলার ধরায়
তুমি আলফা....।
পাপের আঁদার দু’হাতে সরিয়ে সত্যের আলো তুমি জ্বেরে দিয়ে
মৃত্যুর ওপারে যেন পাই তোমায়
তুমি আলফা...........।
---শার্লি বিশ্বাস
৪১৯. অক্ষয় আনন্দধামে, চল রে পথিক কন;
পাইবে শাশ্বত সুখ, জুড়াবে দগ্ধ জীবন!
সে বড় পবিত্র দেশ , নাহি পাপ তাপ লেশ,
প্রেমানন্দের সমাবেশ, সকর শোকভঞ্জন।
(তথা) শান্তি নামে পুণ্য নাদী, বহিতেছে নিরবধি,
রবে না মনের ব্যাধি, করিলে অবগাহন;
অজ¯্র অমিয় সুধা , বাঞ্ছা পুরে পাবে সদা,
ঘুঁচিবে আত্মার ক্ষুধা, সে সুধা করি সেবন।
------অজ্ঞাত(১৮৯৫)
তুমি অপমান কর যাবে, সে যে তোমারই পরিত্রাতা।
ঐ সুন্দর তনু রুধির ধারায় হাসে,
ঐ শুভ্র কমল পঙ্ক সলিলে ভাসে।
কাল ভেরি পরে শোননি কো তুমি
মহা জীবনের গাঁথা।
মৃত্যু তোরণ পার হতে যদি চাও ,
ক্রুশের বারতা হে পথিক শুনে যাও।
অনুতাপ লয়ে বল শুধু একবার
ক্ষমা করো প্রভু, দনিতা ক্ষম আমার
জীর্ণ জীবনে পুষ্পিত হবে
প্রেম বসন্ত লতা।
-----সুনীল দত্ত
৪২৫. ১। পূর্ব দেশোদিত উজ্জ্বল তারা!
আমাদের আগে এই রাত্রিতে যাও,
তোমার ঐ সমুজ্জ্বল নয়ন দ্বারা
নব রাজাকে দেখায়ে দেও।
২। পশুদের সনে বিনত তাঁর মাতা,
শিশিরে সিক্ত তাঁর ময়নের স্থান;
জগতের রাজা ও ¯্রষ্টা ও ত্রাতা,
দূতেরা করেন তাঁর বন্দনা গান।
৩। কি আছে তাঁরে দিতে দরশনী ,
ইদোম সুগন্ধি ও ধন উপায়ন,
সাগরের মুক্তদা ও পর্বতের মনি,
বনের কুন্দুরু সুড়ঙ্গের হিরণ!
৪। বৃথা দেই ধন রতœ, নাহি তাঁয় প্রীতি ,
পাব কি দয়া দিলেই উপহার,
হয় পূজা অন্তরের মূল্যবান অতি,
কাঙ্গালের প্রার্থনা হয় প্রীতিকর।
---বিশপ হেবার (১৮৮৬)
৪২৬. বল কোন পথে যাব হেরিতে তাঁরে?
যিনি জগত তারণ পাপ হরে।।
১। অন্ন বসন হীন দীন জনারে,
মোরা সেবিব, সেবিব , সেই যীশুরে।
২। গৃহহারা যারা ছিল প্রান্তরে,
তারা পাইল অবশেষে গোয়াল ঘরে।।
৩। রাজ অট্টালিকাতে সুখের ঘরে,
কভু নাহি মিলে সেই দনি বন্ধুরে।।
শোন দুনিয়ার শ্রান্ত ক্লান্ত ব্যথিথ নর,
তোমাদের মুক্তির লাগি , খুলেছে স্বর্গ দ্বার।
১। ঐ শোন দূরে , রাখালের ঘরে , জাঘিছে কলোচ্ছ্বাস,
পাপের চিহৃ মুছে গেল আজ, ঘুঁচিল অন্ধকার ---২
২। ধর্মের নামে যুগ যুগ ধরি, জমিয়াছে যত পাপ,
প্রেম ও সত্রের তীব্রর তীব্র দাহলে হল আজ ছারখার—২
৩। মাস্য মৈত্যী করুণার নীরে ,হল আজ একাকার ২
----টমাস ডি, হালদার
৪২৯. এ কি আনন্দ আজ প্রভু তুমিই দিলে
সে আনন্দ আমি কেমনে ভুলি?
১। দুঃখ ছিল ,ব্যথা ছিল , ছিল , ছিল--- বন্ধু আর ও ছিল,
তোমার পরশ এন দিল, আলো দিলে।
৩। পথের শেষে ভালেবেসে
গায়ের ধূলা ঝেড়ে নিলে কোলে
হাসির অশ্রুর মালা গেঁথে
পরাইলে গলে পরাইলে ।
----স্মীথ আর, অধিকারি